মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক গোলাম রাব্বী সোহাগ এবং সঙ্গীত পরিচালক ও গিটারিস্ট টিটু চাকলাদার যৌথভাবে একটি বড় সংগীত প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্পে থাকছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিভাবান শিল্পীরা, যার মধ্যে রয়েছেন এলিটা করিম, পান্থ কানাই, তাসনিম অনিকা, আবন্তী সিথি, মাশা ইসলাম, মেজবা বাপ্পি , মুত্তাক হাসিব, পাবলো পিকাসো, আঁচল, কলকাতার অ্যাঙ্কিতা ভট্টাচার্য, রাহুল দত্ত, রূপক তেওয়ারি, কানাডার খালেদ আশরাফি, সুচিতা নাহিদসহ আরও অনেক জনপ্রিয় শিল্পী। এই প্রকল্পের অধীনে মোট ৩০ থেকে ৪০টি গান প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে, যার প্রথম স্লটে ১২টি গানসহ সঙ্গীত ভিডিও প্রকাশ করা হবে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল এ ও পাশাপাশি স্পটিফাই, আইটিউনস ,অ্যামাজন মিউজিকে। গোলাম রাব্বী সোহাগ বলেছেন, ‘এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা আমাদের সঙ্গীতের নতুন স্বাদ তুলে ধরতে চাই। শিল্পীদের নিয়ে আমরা একটি নতুন সঙ্গীত ভাষা তৈরি করতে চাই। টিটু চাকলাদার বলেন, আমাদের এক এক গান এক এক রকম তবে বেশির ভাগ নতুনদেড় জন্য বানানো মানে যাদের আমরা জেন্ জি বলি। এই প্রকল্পের সঙ্গীত ভিডিও পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হবে। বাংলাদেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য এটি একটি বিশেষ মুহূর্ত, কারণ দেশের ও বিদেশের শিল্পীরা একত্রিত হয়ে একটি অসাধারণ সংগীত অভিজ্ঞতা প্রদান করতে প্রস্তুত।
সুতরাং, প্রস্তুত হন এক নতুন সংগীত জগতের জন্য- এখনই সময় অপেক্ষার, কারণ খুব শীঘ্রই আসছে আমাদের প্রিয় গানের অনবদ্য এক সমাহার!
উল্লেখ্য, গোলাম রাব্বী সোহাগ বাংলাদেশের সংগীত জগতে একজন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী । যিনি বাংলাদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী তার সঙ্গীত প্রতিভা প্রদর্শন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং লন্ডনে তার ব্যাপক টুরের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের কাছে তার সঙ্গীতের জাদু তুলে ধরেছেন।
গত দশ বছর ধরে, একজন পেশাদার সঙ্গীত প্রযোজক হিসেবে অসংখ্য সফল সহযোগিতার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি “মাকসুদ ও ঢাকা” এর কীবোর্ডিস্ট এবং “বাপ্পা মজুমদার” এর সেকেন্ডারি কীবোর্ডিস্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।সোহাগ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি যেমন জি সিরিজ, গানচিল, এবং আগ্নিবীনা সহ বিভিন্ন প্রখ্যাত শিল্পীর সাথে কাজ করেছেন।
সোহাগ শুধুমাত্র সঙ্গীত প্রযোজনাতেই সীমাবদ্ধ নন; তিনি টেলিভিশন নাটক এবং বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের জগতে ও অবদান রেখেছেন। তিনি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য সুরারোপন করে চলচ্চিত্র শিল্পেও তার প্রতিভা প্রমাণ করেছেন।
গোলাম রাব্বী সোহাগ সংগীত যাত্রা তাঁর প্রতিশ্রুতি, অসাধারণ প্রতিভা এবং মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে সংবেদনশীল সুর তৈরি করার প্রতি তার নিবেদনকে চিহ্নিত করে। তিনি বাংলাদেশী সংগীতের উন্নয়নে একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছেন এবং সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে এক অনন্য স্থান অধিকার করেছেন।