রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। অভিনয় ছাড়াও তিনি মডেল, গায়িকা এমনকি লেখক হিসেবেও পরিচিত। পাশাপাশি এবার নির্মাতা হিসেবেও নাম লেখালেন তিনি। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে পর্দায় নেই কুসুম। তার প্রথম পরিচালিত সিনেমার নাম ‘শরতের জবা’। ১১ অক্টোবর সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে? বর্তমান ব্যস্ততা আমার নতুন সিনেমা ‘শরতের জবা’ নিয়ে। এ সিনেমার মাধ্যমে আমি প্রথমবার পরিচালক হিসেবে ফিরছি। এ ছবিটির কাজ আমি সম্পূর্ণ একাই করেছি। পরিচালনা, প্রযোজনা, চিত্রনাট্য আমি নিজেই করেছি। সিনেমায় একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেও অভিনয় করেছি। সিনেমার পোস্টার থেকে শুরু করে সব কিছুই আমাকে করতে হয়েছে। তবে আমার সহকর্মীরা আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে এবং করে যাচ্ছে। শরতের জবা সিনেমার মূল গল্পটা কি নিয়ে? শরতের জবার গল্পটা হলো একাকি রহস্যময় নারীর জীবনের গল্প। রয়েছে ভৌতিক আবহাওয়া। প্রেম ও গান তো আছেই। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার গল্প। অভিনেত্রী থেকে পরিচালক, এর উপলব্ধি কেমন? উপলব্ধি বলেতে এটা একটা লং জার্নি। অভিনয় করতে করতে কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখনো আমি অভিনয় তেমনটা পারি না। আর পরিচালনার কাজটা তো আমার কখনো শিখা ছিল না। দীর্ঘ ১৮-১৯ বছরের ক্যারিয়ারে দেখেছি কিভাবে পরিচালনার কাজ করা হয়। তবে হাতে-কলমে পরিচালনার কাজ কখনো শিখেনি। তাই আমার জন্য সিনেমা নির্মাণ করা বেশ কঠিন ছিল। এ কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। অনেক মানুষকে চিনেছি। অনেক খারাপ অভিজ্ঞতাও হয়েছে আমার। অনেক যত্ন নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। চাইলেই এটি তিন মাসে নির্মাণ করতে পারতাম। প্রায় এক বছর সময় নিয়ে তৈরি করেছি। আমি চেয়েছিলাম, আমার প্রথম সিনেমাটি দর্শক দেখুক। এতে কি কোনো বাধার মুখে পড়েছেন? একই সঙ্গে পরিচালনা, প্রযোজনা, চিত্রনাট্য এবং অভিনয় সমস্ত কাজ একাই করছি। বাধা ঠিক বলব না, তবে পরিশ্রম অনেক বেশি হচ্ছে। তবে কিছু শত্রু তো অবশ্যই আছে, যারা মানুষের ভালো কিছু সহ্য করতে পারে না। তারপর একটা মেয়ে একা এত কিছু করছে এটা নিয়েও অনেক কথাবার্তা হয়। অনেকেই চট করে মিথ্যা কথা বলে ফেলে। এগুলো তো হচ্ছেই। আর এগুলো হবে- এটা আমি জানি। প্রথম পরিচালনা হিসেবে সিনেমাটি নিয়ে কতটুকু আশাবাদী? আমি এ সিনেমা নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী। কারণ গল্পটি আমার পছন্দের। আমার লেখা ‘অজাগতিক ছায়া’ গল্পগ্রন্থে ‘শরতের জবা’ নামে একটি ছোট গল্প আছে। সেই গল্প থেকেই সিনেমার নামকরণ করা হয়েছে। গল্পটি আমার পছন্দের। যার কারণে নির্মাণ করা। একবার পত্রিকায় ছাপা এটি পরবর্তীতে পর পর দুইবার বইমেলায় প্রকাশিত হয়। সেসময় যারা গল্পটি পড়েছেন প্রশংসা করেছেন। তাদের প্রতিক্রিয়ার পর ভাবলাম কিছু একটা করি। এরপর সিনেমা নির্মাণ করা। নিজের সেরাটা দিয়ে কাজটি করার চেষ্টা করেছি। কতটুকু পেরেছি তা দর্শক বলতে পারবেন। পরিচালনায় নিয়মিত হবেন? আমি যখন অভিনয় করতাম তখনো নিয়মিত ছিলাম না। আমার প্রজন্মের যারা তাদের তুলনায় আমার কাজ সব সময় কম ছিল। এখন আমার মতো করে অভিনয়ের প্রস্তাব এলে করব। প্রযোজনা বা পরিচালনা অনেক কঠিন। সেটা শরতের জবার উপর নির্ভর করছে নিয়মিত হব কি না। বর্তমান ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন দেখছেন? সিনেমার অবস্থা তো সব সময় আপ অ্যান্ড ডাউন অবস্থায় থাকে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে। কখনো হয়তো খুব ভালো যায় আবার কখনো অতটা ভালো যায় না। কিন্তু আমি ভালোটাই দেখতে চাই। কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান? আমি সব সময় পজিটিভ। সবকিছুতে পজিটিভ চিন্তা করতেই পছন্দ করি। দেশের ভালো হোক সেটাই চাওয়া। নতুন সরকার সুন্দর একটি বাংলাদেশ উপহার দেবেন সেই প্রত্যাশা করি।