বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৪১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারে ৬৮ হাজার ৩১১টি গবাদিপশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলায় রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার গবাদিপশুর খামার। খামারগুলোতে প্রস্তুত করা হচ্ছে গরু-মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, শতভাগ প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে গরু মোটা তাজা করা হচ্ছে। রাজনগর উপজেলার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বাবর বলেন, ‘শখ করে ৪টি গরু দিয়ে খামার শুরু করেছিলাম। খামারের মূলধন এখন কোটি টাকার বেশি। খামারে এখন বিভিন্ন জাতের ৩৭টি গরু রয়েছে। ঈদে বিক্রির জন্য সেগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে বহু প্রবাসী এবার দেশে আসতে পারছেন না। ফলে চাহিদা খুব বেশি হবে না। তবে স্থানীয় গবাদি পশু চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলায় ৬৮ হাজার ৩১১টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় খামারি রয়েছেন ২ হাজার ৩৬৫ জন। খামারিদের গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২৫২টি এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ২১ হাজার ৫৯টি। খামারি ওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমার খামারে এখন ২৫টি গরু রয়েছে। গত ৫ বছর থেকে খামার করি। আমিসহ চার জন লোক নিয়মিত খামারে কাজ করি৷ পশু মোটা তাজা করার জন্য আমি কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার করিনি। প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো খাবার ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আমি গরু মোটা তাজা করছি।এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো আব্দুস সামাদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। জেলায় সরকারিভাবে ৯টি অনলাইনভিত্তিক কোরবানির পশু বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে আরও ৩টিসহ মোট ১২টি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছ।
তিনি বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন খামারে আমি পরিদর্শন করেছি। খামিরারা কৃত্রিমভাবে পশু মোটা তাজা করছেন না। কৃত্রিম উপায়ে কেউ যাতে গরু মোটা তাজাকরণ করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে বাছাইকৃত ৫৫০ জন খামারিকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।’