মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল- হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে ২৬ হাজার রকেট হামলা হয়েছে এবং এসব হামলায় প্রাণ গেছে ইসরায়েলের ৭২৮ সেনার।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সোমবার গাজা উপত্যকা, পশ্চিমতীর, লেবানন, ইরাক, ইয়েমেন ও লেবানন থেকে ইসরায়েলে ছোড়া রকেট, ড্রোন ও ক্ষেটণাস্ত্র হামলায় পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী- আইডিএফের তথ্য অনুসারে, যুদ্ধের শুরু থেকে গাজা উপত্যকায় আইডিএফের হাতে প্রায় ১৭ হাজার হামাস এবং অন্য প্রতিরোধ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা প্রায় ১০০০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাও রয়েছেন।
ওই দিন ফিলিস্তিনিরা ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করেন এবং আরো ২৫১ জনকে ইসরায়েল থেকে ধরে এনে গাজায় জিম্মি করে রাখা হয়। ইসরায়েলের দাবি, ধরে আনা এবং নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
অন্যদিকে, হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে যে গাজায় প্রায় ৪১ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আইডিএফের তথ্যে বলা হয়েছে, তাদের সেনাবাহিনী আটজন হামাস ব্রিগেড কমান্ডার এবং পাশাপাশি ৩০ জনেরও বেশি ব্যাটালিয়ন কমান্ডারকে হত্যা করেছে। এছাড়াও হামাসের ১৬৫ জন কোম্পানি কমান্ডার এবং একই পদমর্যাদার হামাস নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।
যুদ্ধের শুরু থেকে গাজা উপত্যকায় প্রায় ৪০ হাজার ৩০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল এবং ইসরায়েলের সেনারা প্রায় ৪ হাজার ৭০০টি টানেল শ্যাফ্ট খুঁজে পেয়েছে।
আইডিএফ বলেছে, লেবাননে তারা ৮ শতাধিক ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। আইডিএফের মতে, এর মধ্যে ৯০ জন হিজবুল্লাহ কমান্ডার রয়েছেন।আইডিএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর প্রায় ১১ হাজার অবস্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। সব মিলিয়ে গোটা মধ্যপ্রচ্যেই এখন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে, ইসরায়েল যখন সোমবার সকালে ৭ অক্টোবরের হামলার স্মরণে অনুষ্ঠান শুরু করেছে, ঠিক তখনই গাজা এবং লেবানন থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন অবস্থানে রকেট হামলা চালানো হয়।