মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুনের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। গত ৬ই মে বৃস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিক ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার রাঘবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রামের প্রত্যক্ষদরশী এবং প্রবাসী সাংবাদিক মামুনের চাচা স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদ উল্ল্যাহ অভিযোগ করেন, ৮/১০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে অন্তত ২০/২২ জন যুবক হামলায় অংশ নেয়। এরা প্রত্যেকেই আওয়ামীলীগের ছাএ সংগঠন ছাএলীগের নেতা-কর্মী।
তারা জয়বাংলা শ্লোগান দিতে দিতেই হামলা চালায়। ঘন্টাব্যাপি ওই হামলায় বাড়ির আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি করা হয়। এমনকি ঘরের দরজা এবং দেয়াল পযন্ত ভেঙ্গে দেয়া হয়। এসময় তারা কয়েকটি ব্যাগে করে গহনাসহ দামী কিছু জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়।
ভাংচুর- লুটপাটে অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা পিস্তল, লাঠি, হকিস্টিক, দা, ছুরিসহ অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত ছিল।
হামলার সময় তারা সাংবাদিক মামুনের নাম ধরে ডাকাডাকি এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালাজ করে। তারা চিৎকার করে বলে- শালা বড় প্রতিবাদী সাংবাদিক হইছে, আমাদের দল নিয়ে, নেতা- নেত্রী নিয়ে বড় বড় নীতিবাক্য লেখে। তারে পেলে মেরে পুতে ফেলবো। আজীবনের মতো সাংবাদিকতা করার স্বাদ মিটিয়ে দিবো।
হামলার নেপথ্যে কারণ হিসেবে স্থানীয় এলাকাবাসি এবং ছাত্রলীগের একটি সুত্র বলছে, সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন দীর্ঘদিন যাবৎ অনলাইনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম – দুরনিতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সমালোচনাসহ তথ্যবহুল লেখালেখি করেছেন। সম্প্রতি এই সরকারকে সৈরশাসক হিসেবে অভিহিত করে অনলাইনে “বর্তমান বিশ্বের সফলতম স্বৈরশাসক” শিরোনামে মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছেন। আর এতে ক্ষুদ্ব হয়ে স্থানীয় ছাএলীগের নেতা কর্মীরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
হামলার ঘটনা জানতে প্রবাসী সাংবাদিক মামুনের বাবা মো.নজির আহমদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- আমার ওয়াইফ অসুস্থ, তাকে নিয়ে আমি হাসপাতালে আছি। কিছুক্ষন আগে আমার ছোট ভাই খবর দিলো- বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর – লুটপাট করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
হামলার বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাএলীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- “হামলার ঘটনা শুনেছি, এতে ছাএলীগ জড়িত নয়। জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলায় অংশ নেয়ারা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী হিসেবে পরিচিত বলে এলাকাবাসির অভিযোগের প্রশ্নে বলেন, “আমি খোঁজ নিচ্ছি, কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
সোনাগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুল ইসলাম জানান, “ভাংচুর – লুটপাটের বিষয়ে খোজ খবর নিচ্ছি। উপয্ক্তু প্রমাণ ফেলে ব্যবস্থা নিবো।”