মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ অপরাহ্ন
আব্দুর রব : লভীবাজারের জুড়ীর ফুলতলা বাজারের একজন আবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহককের নামে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এক মাসের বিল ধরে রেখেছে ১,৩১,৯০২ টাকা। প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে ভুক্তভোগী গ্রাহক বিভিন্ন অফিসে ধরনা দিলেও পিডিবি ভুতুড়ে বিলের সুরাহা করেনি, পরবর্তী কোন মাসের বিলও দেয়নি সংযোগও কাটেনি। ভুতুড়ে বিলের বোঝা মাথায় নিয়ে প্রায় ৩৯ মাস ধরে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন ওই বিদ্যুৎ গ্রাহক। এখন পিডিবি একসাথে ৩৯ মাসের বিল প্রদান করলে ভুক্তভোগী গ্রাহক তা পরিশোধ নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায়। পিডিবির স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়সারা দায়িত্বে গ্রাহকরা মারাত্মক হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, পিডিবির বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ কুলাউড়া অঞ্চলের আওতাধীন লুৎফুর রহমান বিগত ২০০০ সালে বসত বাড়িতে আবাসিক সংযোগ নেন। তার গ্রাহক নং-৪৬১০৬৪৬৯ ও হিসাব নম্বর এ-৫০২৭। ২০১৬ সালে এনালগ মিটার প্রত্যাহার করে তার বাড়িতে ডিজিটাল মিটার স্থাপন করে পিডিবি। ২০১৮ সালের ফেব্রæয়ারী মাসের বিলে শূন্য (০) ইউনিট ব্যবহার দেখিয়ে তাকে বিল দেওয়া হয় ৭৯ টাকা। মার্চ মাসের বিল না পাওয়ায় গ্রাহকের ছেলে আফিফুর রহমান অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারেন এ মাসের বিল ধরা হয়েছে ১,৩১,৯০২.৮৫ টাকা। এতে তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়। এরপরই পিডিবির, জুড়ী, কুলাউড়া ও মৌলভীবাজার অফিসে দৌঁড়ঝাপ দিয়েও ভুতুড়ে বিলের সমাধান পাননি। বিদ্যুৎ অফিস প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে ভুক্তভোগী গ্রাহকের ভৌতিক বিল সংশোধনও করেনি, বিলও দেইনি, সংযোগও কাটেনি। এ যেন এক তুঘলকি কান্ড।
ভুক্তভোগী গ্রাহক আফিফুর রহমান অভিযোগ করেন, বিল না আসায় অফিসে গিয়ে কম্পিউটার শীটে দেখেন মার্চ-২০১৮ মাসের বিল ১,৩১,৯০২.৮৫ টাকা ধরা রয়েছে। অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলটি সঠিক করতে বিদ্যুৎ অফিসে অনেকবার ধরনা দিয়েছেন, কিন্তু কাজ হয়নি। এরপর ৩৯ মাস ধরে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। পরবর্তী কোন মাসেরই বিল দেওয়া হয়নি। সংশোধনের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি। এখন একসাথে ৩৯ মাসের বিল দেওয়া হলে তা পরিশোধ নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহক মহাদুশ্চিন্তায় ভোগছেন।
পিডিবির চিফ ইঞ্জিনিয়ার (সিলেট বিভাগ) মো. আব্দুল কাদির বুধবার দুপুরে জানান, ভুক্তভোগী গ্রাহক কিংবা বিদ্যুৎ অফিসের কেউ বিষয়টি তাকে অবহিত করেননি। আজই (বুধবার) এব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।