বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : বছরের ৩৬৫ দিনই যে বাড়ির সামনে ভক্ত অনুরাগীদের ভিড় থাকে, সেটি মান্নাত। বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের এই বাড়ির সামনে প্রতিদিন আনাগোনা শত শত ভক্তবৃন্দের। একনজর কিং খানের দেখা পেতেই ভিড় জমান তার ভক্তরা। তবে এবার একেবারে ধর্ণায় বসে গিয়েছিলেন এক ভক্ত।
তাও ১ বা ২ দিন নয়, টানা ৯৫ দিন! কিং খানের সঙ্গে দেখা করেই যাবেন, এমন পণ নিয়েই এসেছিলেন মান্নাতের সামনে। রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করেও অপেক্ষা করে গেছেন। অবশেষে তিনি দেখা পেলেন তার স্বপ্নের তারকার। সেই ভক্তের নাম শেখ মো. আনসারি।
সদ্যই জন্মদিন গেছে শাহরুখ খানের। ২ নভেম্বর ভারতসহ গোটা বিশ্ব থেকেই কিং খানের জন্য এসেছে শুভেচ্ছা বার্তা। তবে এতকিছুর মাঝে মনে দাগ কাটার মতো ঘটনাই ঘটল। যেখানে মান্নাতের বাইরে ৯৫ দিন ধরে অপেক্ষা করেছেন শাহরুখ খানের এই ভক্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কিং খানের এই ভক্ত ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। সেখানে তার রয়েছে একটি কম্পিউটার সেন্টার। সেটা বন্ধ করেই শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা করার জন্যই তিনি যাত্রা শুরু করেন। যদিও শেষঅবধি স্বপ্ন সফল হয়েছে। শেখ মো. আনসারির সঙ্গে দেখাও করছেন শাহরুখ খান।
একাধিক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ নিজেই জানিয়েছেন, তার সঙ্গে দেখতে করতে চাওয়া ভক্তরা ঠিক কী কী করেন। এরই মধ্যে একটি অন্যতম, যেখানে কড়া নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে মান্নাতে প্রবেশ করে শাহরুখের এক ভক্ত। এখানেই শেষ নয়, কিং খানের বাড়িতে ঢুকে, তার পার্সোনাল সুইমিং পুলে স্নানও করেছিলেন একজন। এই খবর জেনে নড়েচড়ে বসেন শাহরুখ। কারণ এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। তবে সেই ভক্ত নাকি তখন স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কিং খান কোন পুলে স্নান করেন, সেখানে নামার ইচ্ছে ছিল। সেই ইচ্ছেপূরণ হয়েছে। কিন্তু শাহরুখের সঙ্গে দেখা হওয়ার প্রয়োজন নেই তার! বলাইবাহুল্য মনে রাখার মতোই ঘটনা বটে। আর এবার এই ভক্তের টানা ৯৫ দিন ধরে অপেক্ষা মান্নাতের সামনে। তাই শাহরুখ তার ভক্তের আর্জি শুনলেন। ডেকে নিয়ে দেখা করে ছবিও তুললেন তার সঙ্গে। যে ছবি দেখে মুগ্ধ শাহরুখ ভক্তরা।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায় আনসারিকে। তাতে লেখা ছিল— ‘শাহরুখ খান আমার প্রিয় নায়ক। আমি তার খুব বড় ভক্ত। আমি উনার সঙ্গে দেখা করতে চাই। উনার সঙ্গে দেখা করার পরই আমি বাড়ি যাব। ৩৫ দিন ধরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। উনার সঙ্গে দেখা হলেই আমি বাড়ি ফিরব।’ অবশেষে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেই বাড়ি ফিরলেন আনসারি।