শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ মুজিবই কারচুপির নির্বাচন শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সংবিধান অনুলিখন না সংশোধন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন,এই সংবিধান গত ৫৩ বছরে শেখ মুজিবের বাকশাল দিয়েছে। শেখ মুজিবের স্বৈরাচার, একদলীয় শাসন দিয়েছে। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কারচুপি নির্বাচনের শুরু করেন শেখ মুজিব।
তিনি বলেন, শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার মধ্যে আসলে কোনো পার্থক্য নেই।শেখ মুজিব সাড়ে ৩ বছর একদলীয় শাসন করেছেন। শেখ হাসিনা ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট হয়েছিলেন।আর শেখ মুজিব যদি ১৫বছর দেশ চালাতেন তাহলে হাসিনার থেকে আরও বড় ফ্যাসিস্ট হতেন।
একের পর এক ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করেছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, এর পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় সেজন্য জনগণকেও সতর্ক থাকতে হবে।
মাহমুদুর রহমান বলেন, এই সংবিধান একটি পরিবারের পক্ষের দলিল। এই সংবিধান শুধু একটি পরিবারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই সংবিধানে বলা হয়েছে এই সংবিধান অপরিবর্তনীয়। এই সংবিধানে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে। তার মানে বাংলাদেশে তার পিতা শেখ মুজিব যেমন ৭২সালে বাকশাল কায়েম করেছিল তেমনি তার কন্যাও এই সংবিধান অনুযায়ী অঘোষিত বাকশাল কায়েম করেছিল।
রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে উদ্দেশ্য করে মাহমুদুর রহমান বলেন, যেদিন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছেন সেই দিনই সংবিধান নষ্ট হয়ে গেছে। একজন রাষ্ট্রপতি যখন বলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন, আবার পরবর্তীতে তিনি বলেন, তার পদত্যাগ পত্র তার কাছে নাই বা তিনি পান নাই । যে এত বড় মিথ্যা কথা বলতে পারে তাহলে সে সংবিধান লংঙ্ঘন করেছেন এবং তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। ওই চেয়ারে তার থাকার আর কোন বৈধতা নেই।
সাবেক বিচারপতি এএফএম আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড আবেদ রেজা, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাড শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাবেক সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার ও জেলা জজ ইফতেদার আহমেদ প্রমুখ।