মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : ২০০৬-২০১০ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে ফিল্ডিং ও সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ১৪ বছর পর তিনি আবার জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে ফিরেছেন। তবে এবার সিনিয়র সহকারী কোচের ভূমিকায়। লম্বা সময় ধরে স্থানীয় কোচিং স্টাফ জাতীয় দলে নেই। অনেক ক্রিকেটভক্তই মনে করেন, স্থানীয় কোচ নিয়োগের মাধ্যমে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সমস্যার সমাধান হবে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে যুক্ত হয়ে মানুষের বিশ্বাসের প্রতিদান দিতে চান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রোববার গণমাধ্যমের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘চেষ্টা করব যেন, মানুষ আমাকে যেভাবে ভালোবাসছে। আমি দেখলাম, শেষ কিছুদিন, সেটার প্রতিদান দেওয়ার নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গেছে।’
সালাউদ্দিন আরও বলেছেন, ‘চেষ্টা করব, আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়। সেই সঙ্গে আমাদের যে বিদেশি কোচরা আছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগটা যেন আরেকটু ভালো হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখব।’
প্রথমবার জাতীয় দলে সালাউদ্দিনের মূল দায়িত্ব ছিল ফিল্ডিং কোচ হিসেবে। এবার সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেও ব্যাটিং নিয়েই কাজ করবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু আমি সহকারী কোচ, আর প্রধান কোচও আছে এখানে। তার দর্শনটা আমাকে আসলে…সে কীভাবে টিমটা চালাচ্ছে, তাকে সাহায্য করা। এর সঙ্গে খেলোয়াড়দের যতটুকু সাহায্য করতে পারি। আমার ভ‚মিকাটা হয়তো ভিন্ন হবে আগেরবারের তুলনায়।’
কোচ হিসেবে জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত সালাউদ্দিনের অনুভূতি জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘বেসিক্যালি অনুভ‚তি খুব কম। অনুভ‚তি হয় না, কারণ এটা আমার পেশা। আমি যেই জার্সিতেই থাকি, সেটাতে পুরোটা দেওয়াই হচ্ছে আমার কাজ। আমি যেন ১১০ পার্সেন্ট দিতে পারি এবং আমার সেরাটা যেন দিতে পারি। আমি যেহেতু পেশাদার কোচ, আমি যেখানে কাজ করব, সেখানেই আমার পুরোটা দিতে হবে।’
নতুন যেসব খেলোয়াড় আছে, তাদের নিয়ে বেশ আশাবাদী সালাউদ্দিন। তবে তাদের গাইডলাইন দরকার, সেটাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি, ‘যখন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা এসেছিল, তখনো তারা টপ খেলোয়াড় হয়নি। তারা আসলে দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে তাদের ইচ্ছা এবং নিজের মোটিভেশন এর কারণে একটা পর্ব যে আসছে। এই ছেলেদের যে ওই মোটিভেশনটা নাই সেটা বলা যাবে না। এই খেলোয়াড়দের অনেক ইচ্ছা হয়তো আছে। এই ছেলেদের সঠিক গাইডলাইন করলে তারা হয়তো একদিন স্টার খেলোয়াড়ে আবিভর্‚ত হবে। চেষ্টা তো করতেই হবে। এ ছাড়া সবাইকে একটু আশাবাদী হতে হবে, ছেলেদের সাপোর্ট করার জন্য।’
সাম্প্রতিক সময় ব্যাটিংয়ে ভালো করছে না টিম টাইগার্স। সমস্যা কোথায় পরে সালাউদ্দিন বললেন, ‘আসলে সরাসরি তো বলা যাবে না, সেটা টেকনিক্যালি সমস্যা, নাকি মানসিক সমস্যা, নাকি অনুশীলনের সমস্যা। সেটা সামনাসামনি কাজ না করলে বোঝা যাবে না। এটার জন্য তো আমাদের অনেক কোচিং স্টাফ আছেন, তারা তো ভালো জানে খেলোয়াড়রা ভালো জানে। আমার মনে হয় সমস্যাটা খোঁজা হচ্ছে।’
অবশ্য, এখনই সব পরিবর্তন হবে না, সেটাও জানেন সালাউদ্দিন, ‘রাতারাতি সবকিছু যে পরিবর্তন হয়ে যাবে, সেটা আশা করা ঠিক না। এট লিস্ট মানসিকভাবে তারা একটু ভালো হতে পারে আরেকটু চিন্তাভাবনাটা বড় করতে পারে। সেই সামর্থ্যটুকু যাতে পুরোটা দিতে পারে, সেটার দিকে আসলে লক্ষ্য রাখা উচিত। আশা রাখি, ইন শা ল্লাহ তারা একটা ভালো পর্যায় যাবে।’