শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : দীর্ঘ ৫৩ ঘণ্টা পর অবরোধ মুক্ত হলো গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এর আগে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ মিয়া, সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, ও গাজীপুর মেট্রো পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে আসলে আন্দোলনরত পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সাথে কথা বলেন। পরে বকেয়া বেতনের বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে মীমাংসার প্রতিশ্রæতি দেয়া হলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেয়।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার (এসপি) সারোয়ার আলম বলেন, বকেয়া বেতনের বিষয়টি সরকারিভাবে পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলে শ্রমিকরা তাদের অবরোধ তুলে নেন। এখন ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
এসময় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান । এতেও শ্রমিকরা মহাসড়ক ছাড়তে নারাজ। তাদের দাবি কারখানায় মালিকপক্ষ অথবা মালিক নিজে এসে বকেয়া বেতন পরিশোধ করবে তারপরে মহাসড়ক থেকে সরি যাবে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরাদের চেষ্টায় দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানচলাচল শুরু হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ—পুলিশ কমিশনার (অপরাধ—উত্তর) নাজির আহমেদ জানান, সোমবার দুপুরে শ্রম মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে বক্তব্য রাখেন। তাঁর ওই বক্তব্য সেখানকার মাইকে প্রচার করা হয়। এসময় সেখানে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী কর্মকর্তা, শিল্প পুলিশ ও আন্দোলনকারী শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রম সচিব বলেছেন, সরকার দায়িত্ব নিয়ে আগামী রোববারের মধ্যে ৬ কোটি টাকা অনুদান হিসাবে দিবে। শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি ও পাওনা কিভাবে, কবে পরিশোধ করা হবে তা আলোচনার জন্য শ্রমিকদের একটি প্রতিনিধি দলকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তাদের পাওনা পরিশোধ করে দিবে। এসময় শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিন, আমরা অপেক্ষায় আছি।
এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিত্রে দুপুর ২টার দিকে শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। এরপর ঢাকা—ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।