শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া: সিলেটের কানাইঘাট থেকে নিখোঁজ হওয়া শিশু মুনতাহা আক্তারের (৫) এর লাশ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, শিশুটির লাশ মূলত ডোবায় কাদার মধ্যে পুঁতে রাখা ছিল। সন্দেহভাজন এক তরুণী আটক হওয়ার পর তাঁর মা ঘটনাকে অন্য রূপ দিতে লাশ ডোবা থেকে তুলে রোববার ভোরে শিশুটির বাড়ির পাশে একটি পুকুরে ফেলে আসতে চান।
তবে পথে স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হন ওই নারী।
আটক ওই নারীর নাম আলিফজান (৫৫)। তিনি কানাইঘাট সদর উপজেলার বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের বাসিন্দা। আর শিশু মুনতাহা একই গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। শিশুটি ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হয়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সিলেটের কানাইঘাট থেকে নিখোঁজ হওয়া শিশু মুনতাহা আক্তারের (৫) লাশ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শিশুটির লাশ মূলত ডোবায় কাদার মধ্যে পুঁতে রাখা ছিল।
শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন আলিফজানের বাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন দেন। পরে এসে পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করে।মুনতাহা কে পাওয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ শনিবার রাতে প্রতিবেশী শামীমা বেগম ওরফে মর্জিনা (২৫) নামের এক তরুণীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মুনতাহাকে প্রাইভেটও পড়াতেন শামীমা। শামীমের বাড়িতে তাঁর মা আলিফজান ও বৃদ্ধ নানি থাকেন
গ্রেফতাররা হলেন- কানাইঘাট থানার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়া আলিফজান (৫৫) ও তার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), একই এলাকায় ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)।মুনতাহাকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় আটক ৪ আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
গতকাল আসামিদের আদালতে তোলার পর আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত বলে নিশ্চিত করেন কোট ইন্সপেক্টর জামশেদ আলম