শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সাফল্যের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হয়েছে। পর্তুগালের সুপারস্টার জিতেছেন গৌরবের প্ল্যাটিনিয়াম কুইনাস পুরস্কার। পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের আয়োজনে কুইনাস দে অরো গালা অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার জেতেন সিআর সেভেন, যা পর্তুগালে খেলোয়াড়দের জন্য দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কারও বটে।
কিন্তু পুরস্কার প্রাপ্তির পর রোনালদো যা বলেছেন তা বেশ রহস্েযর সৃষ্টি করেছে। পেশাদার ক্যারিয়ারে ৯০০ গোলের মাইলফলক পেরোনোর পর হাজার গোলের আকাক্সক্ষার কথা জানিয়েছিলেন রোনালদো। দারুণ ফর্মে থাকলেও এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই বছর খেলা চালিয়ে যেতে হবে পর্তুগিজ তারকাকে। কিন্তু প্ল্যাটিনিয়াম কুইনাস পুরস্কার জেতার পর রোনালদো জানালেন, দীর্ঘমেয়াদি কোনো কিছু ভাবছেন না তিনি। তার ভাষ্য, ‘আমি এখন মুহূর্তগুলো নিয়েই বেঁচে আছি। আমি আর দীর্ঘমেয়াদি কিছু ভাবছি না।’
ক্যারিয়ারে অনেক রেকর্ডই গড়েছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ভেঙেছেন অনেক কিংবদন্তিদের রেকর্ড। তবে এবার এমন এক মাইলফলকের সামনে রয়েছেন এই পর্তুগিজ, যেখানে এর আগে পৌঁছাতে পারেননি কেউই। নয়শ পেরিয়ে এক হাজার গোলের সামনে তিনি। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায়ও যেভাবে খেলছেন তাতে এই মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলতেও পারেন এই তারকা। কিছু দিন আগেই ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ৯০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। বর্তমানে তার গোল সংখ্যা ৯০৮টি। এক হাজারের মাইলফলক পূর্ণ করতে এখনও ৯২টি গোল প্রয়োজন তার। এদিকে বয়স থেমে নেই। আগামী ফেব্রæয়ারিতেই ৪০ এ পা দিবেন তিনি। তাই এই রেকর্ড গড়তে পারবেন কি-না তাতে কিছুটা সন্দিহান হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে সম্ভাব্য যতদিন সম্ভব খেলার জন্য আগ্রহী রোনালদো।
রোনালদো কী তাহলে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছেন? এটাই এখন বিরাট প্রশ্নের। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অবশ্য তাকে খুব আশা দেখাতে পারছে না। তাই তো এক হাজার গোলের কথা উঠতে-ই জোর গলায় কিছু বলতে পারলেন না সিআর সেভেন। রোনালদো যোগ করেন, ‘আমি বলেছি, এক হাজার গোল স্পর্শ করতে চাই। আমি ৯০০ গোল স্পর্শ করেছি। দেখা যাক আগামী কয়েক বছরে আমার পা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।’
রোনালদোর এমন বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুই বছর পর ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে। রোনালদো কি তাহলে পর্তুগালের জার্সিতে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলবেন না? কিংবা ক্লাব ক্যারিয়ারের কী হবে? রোনালদো অবশ্য অতশত ভাবছেন না তার কথাতেই পরিস্কার, ‘যদি আমি হাজার গোলে পৌঁছতে পারি সেটা ভালো। যদি না পারি তবে এরপরও আমিই ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।’
আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নিলে আরও অনেক রেকর্ড গড়ার মালিক হতে পারবেন রোনালদো। ফিট থাকলে যে সেই বিশ্বকাপে তাকে দেখা যেতে পারে তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন এফপিএফের সভাপতি ফার্নান্দো গোমেস, ‘২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্তুগিজ জাতীয় দলে কাজ করেছেন তিনি। পর্তুগিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যদি এমন কেউ থাকেন যে ভালোবাসার পরিচয় দিয়েছেন, তিনি হলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। একজন অ্যাম্বাসেডর যিনি জার্সি অনুভব করেন এবং পর্তুগালকে অনুভব করেন।’