শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
ডেস্ক রেপোর্ট : নভেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে মালদ্বীপের বিপক্ষে দুই ম্যাচের ফিফা ফ্রেন্ডলি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। বুধবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলেছে স্বাগতিকরা। যে ম্যাচে সফরকারী মালদ্বীপ ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। একই ভেন্যুতে মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে আগামী ১৬ নভেম্বর।
নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভুইয়া ছুটিতে থাকায় এই ম্যাচে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড উঠেছে তপু বর্মণের হাতে। ম্যাচের শুরুটা দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। ২ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে সোহেল রানার থ্রæ বল বক্সে রাকিব রিসিভ করার আগেই দৌড়ে এসে বল ক্লিয়ার করেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক হোসাইন শরীফ। ৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ইসা ফয়সালের ক্রসে বক্সে বল পেয়ে হেড নিয়েছিলেন মোরসালিন। তবে বল চলে গেছে বারের বেশ উপর দিয়ে। ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যেই প্রথম কর্নার আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। ডান প্রান্ত থেকে সৈয়দ শাহের কর্নার বক্সে পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তারা সতীর্থরা। ৮ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বক্সে বল বাড়িয়েছিলেন রাকিবের উদ্দ্যেশে। কিন্তু বল ক্লিয়ার করেন প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার ইরুফান। ১১ মিনিটে প্রথম সুযোগ সৃষ্টি করেছিল মালদ্বীপ। বাঁ প্রান্ত থেকে নাইজ হাসানের ক্রস ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ইসা। পরের মিনিটে মালদ্বীপের আলী ফাসিরের শর্ট কর্নারে বক্স থেকে আক্রমণ শানিয়েছিল সতীর্থ ফুটবলাররা। মিতুল মার্মার হাত ফস্কে বল প্রায় জালেই ঢুকে যাচ্ছিল। অল্পের জন্য রক্ষা পায় বাংলাদেশ। ১৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ফাহিমের ক্রসে বক্সে হেড নেন রাকিব। তবে গোলের দেখা মিলেনি। ১৮ মিনিটে রক্ষণের দুর্বলতায় পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার হামজার ফ্রি কিক পোস্টের কাছ থেকে একদম ফাঁকায় পেয়ে হেডে বাংলাদেশের জাল কাঁপান মিডফিল্ডার আলী ফাসির (১-০)।
পরের মিনিটেই সমতায় ফেরার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের। কিন্তু মিডফিল্ডার সোহেল রানার শট চলে যায় বারের সামান্য উপর দিয়ে। ২৭ মিনিটে সোহেল রানার জোরাল শট বøক করেন মিডফিল্ডার হোসাইন নিহান। ৩০ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে ইসার ক্রস বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ে শট নিয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। কিন্তু বল লক্ষ্যে পাঠাতে পারেননি। ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশের নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়। সতীর্থের পাসে বল পেয়ে বক্স থেকে রাকিবের বাঁ পায়ের শট নিজের শরীরে লাগিয়ে ব্লক করেন ইরুফান। ৩৭ মিনিটে বক্সের সামনেই ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। মোরসালিনের ফ্রি কিক বক্সে পেয়ে হেড নেন অধিনায়ক তপু বর্মণ। কিন্তু বল জালে রাখতে পারেননি। প্রথমার্ধ পিছিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় বাংলাদেশ।
গ্যালারিতে বাংলাদেশের সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। কিন্তু এই অর্ধে, ইসা-রাকিব-মোরসালিনদের যেন বোতলবন্দি করে ফেলেন মালদ্বীপের ডিফেন্ডাররা। যে কারণে স্বাভাবিক খেলাটা খুব একটা খেলতে পারেনি বাংলাদেশ।
৬৪ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে আলী ফাসিরের কর্নার বাংলাদেশের বক্সে ক্লিয়ার হয়। ৭৪ মিনিটে আরও একবার গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। বক্সের মাথা থেকে মুজিবুর রহমান জনির শট আটকে দেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক হোসেন শরীফ। ৭৮ মিনিটে আবারও মালদ্বীপের বক্সে আক্রমণ শানিয়েছিল বাংলাদেশ। রাকিব বল নিয়ে শট করতে গেলে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বাধার মুখে শট নিতে না পেরে বল পাস করে দেন। বক্সের মাথা থেকে মোরসালিনের ডান পায়ের শট খুব সহজেই আটকে দেন শরীফ। ৮২ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে ডিফেন্ডার রহমত মিয়ার থ্রো-ইন বক্সে পেয়ে হেড নেন তপু বর্মণ। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেননি। ইনজুরি টাইমে আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন রাকিব। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।