শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
। মুজিবুর রহমান মুজিব।
বিশে নভেম্বর বাংলা দেশ জাতীয়তা বাদী দল বি,এন,পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ প্রজন্মের প্রিয়নেতা, স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধান মন্ত্রী দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুসন্তান তারেক রহমানের শুভ জন্ম দিন। ডক্টর ফখর উদ্দিনের সেনা সমর্থিত দীর্ঘ মেয়াদী তত্ত¡াবধায়ক সরকারামলে বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা তারেক রহমানকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়। সেই থেকে সস্ত্রীক যুক্ত রাজ্যে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। পরিকল্পিত ও পাতানো নির্বাচনে দিল্লীর আশির্বাদ পুষ্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তারেক রহমানের উপর দায়েরকৃত ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসা মূলক মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসী রায়ে তাঁকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। মিথ্যা ও রাজনৈতিক জিঘাংসা মূলক মামলার কারাদন্ড নিয়ে যুক্ত রাজ্যে নিরবে নিঃশব্দে বসে নেই জননেতা তারেক রহমান, প্রিয় দল বি,এন,পির ভার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব নিয়ে বিলেতে থেকে ভার্চুয়েলি যুক্ত হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দল ও অঙ্গঁ সংঘটন সমূহের সাংঘটনিক কার্য্যক্রমে দিক নির্দেশনা ও দিচ্ছেন। ধনী দরিদ্র যে কোন মানুষের জীবনে জন্ম দিন একটি আনন্দ ময় দিন। শুভ দিন। আয়োজন পার্টি জন্মদিনের কেক কাটা “হ্যেপী বার্থডে টু ইউ” বলে আনন্দ উল্লাস মধ্যবিত্তের জনজীবনে সামাজিক রেওয়াজ রুসুম। বৃটেন প্রবাসী তারেক রহমানের পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাজধানী ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে চীর শয়ানে। আশিত পর বৃদ্ধ মাতা বেগম খালেদা জিয়া একাশি সালে জীবন সঙ্গীঁ প্রিয় স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হারিয়ে জাতীয় দাবীর প্রেক্ষিতে, শোককে শক্তিতে পরিনত করতঃ দলের চেয়ার পার্সনের দায়িত্ব ভার নিয়ে সামরীক স্বৈর শাসক জেনারেল এর্শাদ বিরোধী গনতান্ত্রীক আন্দোলন বেগবান করে তুলেন। নিষ্টুর স্বৈর শাসক শেখ হাসিনার দুঃশাসন আমলে ঝুলুম নির্যাতন, অসৌজন্য মূলক আচরন এবং সাজানো মামলায় ফরমায়েসী রায়ে দীর্ঘ কারাযাতনায় অসুস্থ হয়ে বর্তমানে অসুস্থ চিকিৎসাধীন। শয্যাশায়ী। জননেতা তারেক রহমানের একমাত্র ভ্রাতা অকাল প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো পর লোকে। ফলতঃ জন্ম দিনের কোন আনন্দ উচ্ছাসনেই তারেক রহমানের পরিবারে। লন্ডন থেকে এসপ্তাহে দীর্ঘদিন পর দেশে আসা বৃটেন বি,এন,পির প্রান ভ্রমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি,এন,পির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মহিদুর রহমান তাঁর গ্রামের বাড়ি বাউর ঘরিয়ায় তাঁকে প্রদত্ত এক সম্ভর্ধনানুষ্টানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি বাংলাদেশে আসার সময় নেতার সঙ্গেঁ সাক্ষাত করে এসেছেন, নেতাদেশ বাসির কাছে তাঁর জন্ম দিনে দোয়া চেয়েছেন, কোন জন্মদিনের অনুষ্টানাদির আয়োজন করতে নিষেধ করেছেন। বাংলাদেশে ও হাই কমান্ড দলীয় ভাবে জন্ম দিনের কোন অনুষ্টান আয়াজন করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। দেশও জাতির এই ক্রান্তি কাল ও কঠিন সময়ে জননেতা তারেক রহমানের এই ত্যাগী, গনমুখী, মহত মানষিকতার সাধুবাদ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে তাঁর সুস্ব্যাস্থ দীর্ঘায়ূ সার্বিক সাফল্য ও পারিবারকি কল্যান কামনা করছি। সাংবাদিকতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক কারনে জননেতা তারেক রহমানের সঙ্গেঁ আমার দীর্ঘদিনের পরিচয় ও সম্পর্ক । তাঁকে দুর থেকে কাছে থেকে দেখেছি জেনেছি বুঝেছি তিনি উচ্চ স্থরের বড় ঘরের ছেলে হলেও দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রীর প্রথম পুত্র হয়েও তাঁর কোন অহংকার অহংবোধ কিহনুরে ভাব ছিল না সাধারন পোষাক, মাছ ভাত সাধারন আহারে সহজ সরল অসাধারন সাদা মনের মানুষ। দেশের প্রেসিডেন্ট প্রধান মন্ত্রীর প্রথম পুত্র হয়ে ও তিনি ক্ষমতার স্বাদ ও ভাগ বাটোয়ারা নিতে “নাযিল” হন নি, উড়ে এসে জুড়ে বসেন নি, তিনি তৃনমূল থেকে উঠে এসেছেন। ধর্মীয় মূল্য বোধ ও বাংলা দেশী জাতীয়তা বাদ ও পিতার উনিশ দফা কর্মসূচীর আলোকে সবুজ বিপ্লবের লক্ষ্যে ঐতিহাসিক উনিশ দফা কর্ম্মসূচীর সমর্থক তারেক রহমান মাত্র বাইশ বৎসর বয়সে ১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলাধীন গাবতলি থানা বি,এন,পির প্রাথমিক সদস্যপদ নিয়ে রাজনীতিতে তাঁর হাতে খড়ি। ৯১-৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাতা দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেঁ গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা রাখেন তরুন নেতা তারেক রহমান। দুই হাজার এক সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন জননেতা তারেক রহমান। অক্টোবর মাসের এই নির্বাচন “অক্টোবর বিপ্লব” হিসাবে বিখ্যাত। বি,এন,পির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট নিরংকুশ বিজয় অর্জন করে এই নির্ব্বাচনে। বি,এন,পির চেয়ার পার্সনের রাজনৈতিক অফিস বনানীর হাওয়া ভবনে দলীয় কার্য্যক্রম ও নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন চেয়ার পার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব এ,এইচ মোফাজ্জল করিম, বি,এন,পির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহা সচিব ও চেয়ার পার্সনের বিশেষ সহকারি আবুল হারেছ চৌধুরী। বনানীর এই অফিসটা ছিল একটি ভাড়া বাড়ি। এই বাসা বাড়ির মূল মালিক সিলেটের একজন প্রবাসী, তিনি তাঁর স্ত্রী হাওয়ারুন্নেছার নামে ভবনটির নাম করন করেন। চেয়ার পার্সনের কার্য্যালয় হাওয়া ভবনে সাংঘটনিক কার্য্যক্রম সংঘটিত হয়েছে। হাওয়া ভবনে, শেখ হাসিনার শ্বশুড় বাড়ী সুধা সদনের মত শত কোটি পতি পিয়ন পানি জাহাঙ্গীর ছিল না। সুধা সদন ছিল আওয়ামী লুন্টনের কেন্দ্র স্থল। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সগর্বে বলেছেন তার পিয়ন জাহাঙ্গীর চারশত কোটি টাকার মালিক। জননেতা তারেক রহমান যাবতীয় যোগ্যতা সুযোগ সুবিধা থাকলেও সাংসদ হন নি, সরকারে যোগ দেন নি। তিনি দল পরিচালনা, দেশের সাধারন মানুষের জন্য কাজ করায় উৎসাহী ছিলেন। ২০০২ সালে দলের যুগ্ম মহা সচিব নিযুক্ত হয়ে তারেক রহমান বিভাগীয় তৃনমূল সম্মেলন শুরু করেন। দলের মহাসচিব সহকেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মন্ত্রী সভায় রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকায় সুদক্ষ সংঘটক তারেক রহমান তৃনমূল পর্যায়ে দলকে শক্তি শালী করতে শহীদ জিয়ার উনিশ দফা কর্মসূচী নিয়ে মফস্বল অভিযান শুরু করেন। তৎকালীন সিলেট জেলা বি,এন,পির আহŸায়ক এম, ইলিয়াস আলী এম,পির তত্ত¡াবধানে সিলেট ষ্টেডিয়ামে অনুষ্টিত সিলেট বিভাগীয় তৃনমূল মহা সম্মেলন ছিল সিলেটের রাজনীতির ইতিহাসে একটি স্মরনীয় ঘটনা এতিহাসিক সংযোজন। বর্নীল বর্নাঢ্য সেই শুভানুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের রুপকার বি,এন,পির প্রতিষ্টাকালীন প্রভাব শালী নেতা, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম, সাইফুর রহমান। বর্নীল সাজে সে দিন সেজেছিল সিলেট ষ্টেডিয়াম। সিলেট নগরি। “সিলেটি জামাতা” তারেক রহমানকে জামাই আদরে বরন করেছিল সিলেট বাসি। সেই মহা সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে যোগদানের সুযোগ হয়েছিল। রাজনীতির এমন মহামিলন মেলা খুব কমই দেখা যায়।
জননেতা তারেক রহমান দলের তৃনমূল পর্য্যায়ের নেতা কর্মিদেরকে দলের প্রান ভ্রমরা এবং মূল চালিকা শক্তি হিসাবে আখ্যায়িত করে দলের চেয়ার পার্সন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সমীপে ৫৯ দফা সুপারিশ মালা পেশ করেছিলেন। ২০০৫ সালের ইদুল ফিতরে প্রিয় নেতা তারেক রহমান ইদুল ফেতর উপলক্ষে নিজ হাতে সই করে এক লক্ষ পয়ষট্টি হাজার ঈদ কার্ড তৃনমুল নেতা কর্মিদের কাছে পাঠিয়ে সম্প্রীতি সৌহার্দ সহমর্মিতা ও নির্মল ভালোবাসার নজির বিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে ও ঈদ কার্ড মারফত তিনি ঈদ মোবারক জানান। বি,এন,পির তৃনমূল নেতা কর্মিদের কাছে ফোন মারফত ঈদ মোবারক জানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়ে ছিলেন কর্মি বান্ধব নেতা তারেক রহমান। রাজনীতিবিদ তারেক রহমান একজন মানবতা বাদি ও নিঃস্বার্থ সমাজ সেবক ও বটে। অরাজনৈতিক সেবা সংঘটন “জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের” প্রান পুরুষ তিনি। সমগ্র বাংলাদেশ ব্যাপী সেবা সংঘটন “জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন” এর সেবা কার্য্যক্রম বিস্তৃত ছিল। দুই হাজার চার সালের দিকে সমগ্র বাংলাদেশ ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। বৃহত্তর সিলেটের বৃহদাংশ বন্যা কবলিত হলে জন জীবনে ব্যাপক দূর্যোগে নেমে আসে। মানবতা বাদি রাজনীতিবিদ তারেক রহমান “জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের” পক্ষ থেকে ত্রান সমাগ্রী নিয়ে ছুটে এলেন আমাদের মৌলভীবাজারে। জেলা বি,এন,পির তৎকালীন সভাপতি মাননীয় সাংসদ নাসের রহমানের তত্ত¡াবধানে নেতার সফর ও ত্রান বিতরন কর্ম সূচী প্রনয়ন, সদর উপজেলাধীন একাটুনা বাজার এবং রাজনগর থানার পাঁচগাঁও এলাকায় জনসভা, মত বিনিময় ও ত্রান বিতরন হবে। দুটি কর্ম সূচীতে আমি দলের সিনিওর নেতা হিসাবে জেলা বি,এন,পির তৎকালীন সেক্রেটারী বর্তমানে জেলা বি,এন,পির আহŸায়ক সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন সহ উপস্থিত ছিলাম। প্রিয় নেতা তারেক রহমানের নাম শুনেই দুই উপজেলার দুটি জন সভায়-ই নর-নারী, যুব জনতার ঢল নেমেছিল। যে প্রজন্ম স্বাধীনতার মহান ঘোষক, আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক শহীদ প্রেনিসডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্বচক্ষে দেখেন নি, সেই বর্তমান প্রজন্ম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রক্ত ও রাজনীতির গৌরবোজ্জল উত্তরাধিকার আরেক জিয়া তারেক জিয়াকে স্বচক্ষে দেখতে তাঁর কথা শুনতে সৌজন্য সাক্ষাত করতে দলে দলে ছুটে আসেন, নেতা ও নীরাপত্তা বেষ্টনি উপেক্ষা করে সমবেত যুব জনতার মাঝে মিশে যান। উষ্ণ আলিঙ্গঁনে আবদ্ধ হন। জনারন্যে আওয়াজ উঠে “তারেক রহমান এগিয়ে চল আমরা আছি তোমার সাথে”। জেলা সদরের মাননীয় সাংসদ এবং জেলা বি,এন,পির সভাপতি এম, নাসের রহমান তাদের বাগান বাড়িতে তারেক রহমান এর সম্মানে মধ্যাহ্ণ ভোজের আয়োজন করেন। আমন্ত্রিত অথিতি হিসাবে ঘরোয়া পরিবেশে খাবার টেবিলে ও তাঁকে দেখেছি বাহারি খাবারও বাহুল্য নেই সাধারন মাছ, ভাত, আইড় ও বাঘ মাছ তাঁর প্রিয় খাবার। অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিশ্বস্থ ও ঘনিষ্ট সহচর, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থ নীতিবিদ এম, সাইফুর রহমান ঢাকা থেকেও ফোন মারফত মেহমান তারেক রহমানের খুজ খবর নিচ্ছিলেন, এম, নাসের রহমান ও সরাসরি সবকিছু তদারকি ও দেকভাল করছিলেন। নিখাদ ভদ্রলোক বিনয়ী তারেক রহমান ঘরে বাহিরে সকল আয়োজনে সন্তুস প্রকাশ করতঃ বারবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছিলেন। মৌলভীবাজার সার্কিট হাউসে তাঁর বিদায় বেলার দৃশ্যটি আমার স্মৃতিতে এখনও অ¤øান। আলোক চিত্র গুলি ¤øান হয়ে গেল ও আমার স্মৃতিতে মনের আয়নায় এখন ও সমুজ্জল। সার্কিট হাউসে জেলা উপজেলা বি,এন,পির সিনিওর নেতৃবৃন্দ কতেক সিনিয়র সাংবাদিক সহ আমরা, একাংশে বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তা কর্ম চারীবৃন্দ, এই দুই দিনেই তাদের আপন হয়ে গেছেন তিনি, সার্কিট হাউসে অবস্থান কালে তাঁদের সাথে খোলামনে কথা বলেছেন। বিদায়ী বকশিশ দিয়ে সবার সঙ্গেঁ হাত মিলালেন, আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেই ফেল্লাম “লাইক ফাদার লাইক সান- উয়েল ডান স্যার উয়েল ডান”। আমি দেখেছি মুক্তি যোদ্ধা জিয়া প্রেসিডেন্ট জিয়া এমনি সহকর্মিদের প্রতি সংবেদনশীল ছিলেন। বিনয়ী ছিলেন অহংকারী ছিলেন না। আমাকে একজন প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে একাত্তোরে তাঁর মরহুম জনকের সহকর্মি হিসাবে সম্মান প্রদর্শন করতঃ আংকেল বলে সম্ভোধন করলেন। আমি পূনঃ আবেগ আপ্লুত হলাম। তাঁর সুস্ব্যাস্থ, দীর্ঘায়ু ও কল্যান কামনা করলাম। জননেতা তারেক রহমান এই সময় মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র ও যুক্ত রাজ্য ভ্রমন করেছিলেন। উভয় দেশেই প্রবাসী বাংলাদেশীগন তাকে বিপুল ভাবে সম্ভর্ধিত করেন। আমেরিকার পত্র পত্রিকা তারেক রহমানকে বাংলাদেশের ভাবি নেতা বলে মন্তব্য করে। এই ভাবে দেশে বিদেশে প্রেসও মিডিয়া সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী রাজনৈতিক গবেষক বিশ্লেষকগন রাজনীতিবিদ তারেক রহমানের সাংঘটনিক সক্ষমতা, শিষ্টাচার, সৌজন্য বোধ ও বিনয়াচরনের ভূয়শী প্রশংসা করেন, তাঁর ক্যারিস মাটিক ব্যক্তিত্ব মহত্ব ও মানবতা বোধ এর কথাও এক বাক্যে স্বীকার করেন সেখানে এক আওয়ামী সাংবাদিক শেখ হাসিনার মোসাহেবও স্থাবক আজকের সূর্য্যদেয় এর খন্দকার মোজাম্মেল হক তার ব্যতিক্রম। বি,এন,পির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্য্যালয় “হওয়া ভবনের” হিমলে হাওয়া ও গাত্র দাহ হয়। বস্তু নিষ্ট সৎ ও মহত সাংবাদিকতার নিয়ম নীতিকে বিসর্জন দিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি প্লট-ফ্ল্যাট কালো টাকা কামাইর ধান্দায় ফন্দি ফিকিরে থাকেন, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত মোজাম্মেল বাবুদের মত শুধু মাত্র আওয়ামী সাংবাদিক হয়ে অন্ধকার ভূবনের বাসিন্দা হন। ধর্মীয় মূল্য বোধ, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এর বিরুদ্ধ বাদিরা যুক্তি, তত্ব ছাড়া গোয়ারের মত নর্তন কুর্দন করতঃ আবুল তাবুল বকেন। একজন জীবন ঘনিষ্ট সৎ ও জীবন ঘনিষ্ট সাংবাদিক এর একটি পছন্দের একটি রাজনৈতিক দল মত দর্শন থাকতে পারে একজন সাংবাদিক একজন ঝানু রাজনীতিবিদ ও হতে পারেন, কিন্তু একজন পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে তার উচিত তার একচোখা এক পেশা নীতি পরিহার করে সাংবাদিকতার নূনতম নিয়ম কানুন মেনে সত্য প্রকাশ করা। মৌলানা আক্রম খাঁন, তফাজ্জুল হোসনে মানিক মিয়া এবং নির্মল সেন তিন ভূবনের বাসিন্দা ছিলেন একটি রাজনৈতিক দল ও দর্শনের অনুসারি ও তাত্বিক ছিলেন, কিন্তু সাংবাদিক হিসাবে তারা ছিলেন স্পষ্টবাদি। সত্যবাদী। স্বস্বক্ষেত্রে সফল। বস্তু নিষ্ট সাংবাদিকতার নিয়মনীতি অনুসরন করে তাঁরা মরেও অমর। বাংলাদেশী সাংবাদিকতার ভূবনের উজ্জল নক্ষত্র। বিশিষ্ট আওয়ামী সাংবাদিক খন্দকার মুজাম্মেল হক আজকের সূর্য্যদয় এ বি,এন,পি ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে বরাবর নেতিবাচক মন্তব্য করতেন। কলাম লিখেন “তারেক রহমান ড্রাইব ¯েøা”। আজকের সূর্য্যদয় এর তাঁর নির্ধারিত কলামে খ,ম,হক নামে সম্পাদক খন্দকার মুজাম্মেল হক বলতে চেয়েছেন তারেক রহমানের এখনও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সময় হয় নি, মানুষ মানুষের গনমুখী কর্মকান্ডে সমর্থন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার শ্লোগান দেয়, উৎসাহ যোগায়, যাতে দেশ ও দেশের মানুষ অধিকতর উপকৃত হয়। এখানে জিঘাংসাও জেদের বশবর্তী হয়ে তিনি নিরুৎসাহিত করছেন। এমন ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের প্রতিবাদ এবং তারেক রহমানের একজন সমর্থক শুভাকংখী হিসাবে একটি আর্টিকুল লিখলাম- “এ প্রজন্মের প্রিয় নেতা তারেক রহমান পুস্পিত শুভেচ্ছ”। ঢাকায় মাঝে মধ্যে এবং বৃহত্তর সিলেটের দৈনিক গুলিতে প্রায় নিয়মিতই কলাম লিখি। রচনাটি দারুন পাঠক প্রিয়তা পায়। আমার কতেক শুভাকাংখী লেখাটি একটি পুস্তাকারে প্রকাশের প্রস্তাব দিলে আমি পেশাদার লেখক সাংবাদিক না হয়েও এই নামে একটি ক্ষুদ্র পুস্তক প্রবেশ করি, পাঠক প্রিয়তা পায়, সৌভাগ্য ক্রমে একটি পুস্তক জননেতা তারেক রহমানের হাতে পড়লে তিনি তার সহকারী অপু ইসলাম মারফত আমাকে ফোন করান, আমার সঙ্গেঁ কথা বলেন। আমার সৌখিন লিখিয়ে জীবনের চরম সৌভাগ্য এই তিনি আমার গ্রহ্ণের প্রশংসা করতঃ আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। গ্রহ্ণ খানার মফস্বলি দীনতা, রং এর বাহার নেই, সাদা মাটা, তিনি সন্তুষ্ট হয়ে ঢাকায় রঙ্গীন আকারে এই গ্রহ্ণ প্রকাশ, আমাকে ঢাকায় লেখা লেখি টিভি, পত্রিকায়, কাজ করার সুযোগ এবং ফাউন্ডেশনে কাজ করার প্রস্তাব দিলে সানন্দে সম্মতি জ্ঞাপন করি। আমার কর্মও মানব জীবনের পরম পাওয়া, চরম সুযোগ ছিল সেটি। “দক্ষিনা হাওয়ায়” হেলে খেলে, কাদি পুরের কদমফুল, অন্তে হরির উতাল পাতাল হাওয়ায় মাতাল হয়ে বেলা শেষে এখন পড়ন্ত বেলা। আশির দশকে মহামান্য হাইকোর্টে তালিকা ভূক্ত হলাম, কিন্তু ঢাকার মায়া আমাকে আটকে রাখতে পারে নি। আমার রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের উস্তাদ দাদা হিসাবে পরিচিত সিরাজুল আলম খাঁন এর নির্দেশে একজন স্বপ্নবাজ মুক্তিযোদ্দা হিসাবে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসি। আশির দশকে এক সন্ধ্যায় আমার ভরা যৌবন কালে, রাজনীতি, ওকালতি, সাহিত্য সাংস্কৃতিক চূড়ান্ত ব্যস্থতার কালে পৈত্রিক ঠিকানা রসুলপুল হাউসে এলেন আমার পারিবারিক সুহৃদ চৌকশ সেনা কর্মকর্তা মেজর আলী হিসাবে সুপরিচিত সৈয়দ আলী আহমদ। দেশব্যাপী তখন এর্শাদী স্বৈর শাসন জেকে বসেছে। আমি পনেরো দলীয় জোটের একজন নেতা, জেলা সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এর যুগ্ম আহŸায়ক। আমার নিত্য শুভাকংখী মেজর আলীর প্রস্তাব, জেনারেল এর্শাদ এর সরকারকে সমর্থন করলে প্রতিমন্ত্রী হব, ঢাকায় বাড়ি গাড়ি পাব। তার এই প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখান করেছিলাম। মেজর আলী লেঃ কর্নেল হিসাবে ক্যেডেট কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে অবসর গ্রহন করতঃ সিলেটে বসবাস করছেন, কবিও গবেষক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। বিনয়ী কর্নেল আলী আমাকে এখন দয়া করে শরম দেন না, আমি ও আফসোস করি না। সেবার নেতা তারেক রহমানের প্রস্তাবে সম্মতি জ্ঞাপন করি, আবার ঢাকা বাসি হতে চাই, আমার পরিবারিক ও রাজনৈতিক মুরব্বি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর সঙ্গেঁ আলোচনা ও মতামত নিয়ে যেতে না যেতেই ওয়ান ইলেভেনের আজাব ও গজবের ড. ফখরুদ্দীনের সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার। দীর্ঘ দুই বৎসর ব্যাপী মহান মালিক আল্লাহ কত হিল গইড়, মহা গইড় দেখালেন। বিগত দেড় দেশকাধিকালের শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী স্বৈরশাসনামলে ফরমায়েসী রায়ে দন্ড প্রাপ্ত তারেত রহমান বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত পাঁচই আগষ্ট প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ফেলে ভারত চলে গেলে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে নোবেল বিজয়ী আন্তর্জাতিক ভাবে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ড. মোঃ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তবর্তিকালীন সরকার গঠিত হলে বাংলাদেশের বন্ধ দরজা জানালা খুলছে, শুরু হয়েছে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা। জননেতা তারেক রহমান এখন নিয়মিত টিভি ও পত্র পত্রিকায় জাতি ও দলকে দিক নির্দশনা দিচ্ছেন। জাতীয় ভাবে আওয়াজ উঠেছে তারেক রহমানের সকল মামলা প্রত্যাহার করা হউক, জাতি অধির আগ্রহে দেশ নায়ক তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। আমার জীবনের শেষ -“গ্রহ্ণ এ প্রজন্মের প্রিয় নেতা তারেক রহমান পুস্পিত শুভেচ্ছা” বর্দ্ধিত পরিমার্জিত দ্বিতীয় সংস্করন প্রিয় নেতার পছন্দ মত বেরুবে ইনশাল্লাহ। বিশে নবেম্বর দেশ নায়ক তারেক রহমানের শুভ জন্ম দিন। প্রিয় নেতার জন্ম দিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা। হ্যেপী বার্থ টু আওয়ার গ্রেট লিডার তারেক রহমান। হ্যেপী বার্থডে। প্রিয় নেতার শুভ জন্ম দিনে এ প্রজন্মের অহংকার প্রিয়নেতা তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এখন সময়ের দাবী, প্রত্যাহার চাই।
[ষাটের দশকের সাংবাদিক। মুক্তিযোদ্ধা। এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।]