শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবং খাইবার পাকতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী গান্দারপুর। তারাই এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন
পাকিস্তানে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাদের বিক্ষোভ সাময়িকভাবে সমাপ্তির কথা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার ‘নির্দোষ নাগরিকদের রক্তপাত ঘটনানোর পরিকল্পনা’ করছে- এমন দাবি করে বুধবার তারা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে।
পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘সরকারের নির্মমতা এবং কেন্দ্রীয় রাজধানীকে নিরস্ত্র জনসাধারণের কসাইখানা বানানোর পরিকল্পনা করার প্রেক্ষাপটে আমরা আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সাময়িকভাবে বন্ধ করার কথা ঘোষণা করছি।’
দলটি জানায়, তারা দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
উল্লেখ্য, এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তাল হয়ে পড়ে দেশটির বিভিন্ন শহর। রাস্তায় নেমে আসা হাজারো সমর্থকদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোহসীন নকবি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইসলামাবাদের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারীদের হামলায় আধা-সামরিক বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছে।’
এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীনগর মহাসড়কে কিছু দুষ্কৃতকারী রেঞ্জার্স কর্মীদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় আধা-সামরিক বাহিনীর চার সদস্য এবং এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে নিরপত্তা বাহিনীর সাত সদস্য।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলেছে, চলমান বিক্ষোভকে ঘিরে সংঘাতে দু’দিনে শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার এবং সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর প্রতিবাদে গত ১৩ নভেম্বর এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন কারাবন্দী ইমরান। পিটিআই-এর এই কর্মসুচিকে বেআইনি ঘোষণা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যস্থা গ্রহণে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
চলমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ইসলামাবাদে সংবিধানের ২৪৫ ধারা সক্রিয় করে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।