শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : স্বামীকে কারাগার থেকে মুক্তির দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের নেতাকর্মীদের রাজধানী ইসলামাবাদের ডি-চকে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি। সমাবেশস্থল থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, স্বামীকে কারামুক্ত না করে তিনি ডি-চক থেকে ফিরবেন না এবং নেতাকর্মীদের কাছ থেকেও ঘরে না ফেরার প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার গভীর রাতে বুশরা বিবি ডি-চক ছেড়ে চলে গেছেন। তবে ইমরান খান কারামুক্ত হননি।
জনগণের চুরি যাওয়া ম্যান্ডেট পুনরুদ্ধার, দেশটির সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী বাতিল এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে ১৩ নভেম্বর ইমরান খান কারাগারের ভেতর থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্ত ডাক’ দিয়েছিলেন। ২৪ নভেম্বর তার এই কর্মসূচির নির্ধারিত দিন ছিল। তবে সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে ২৪ তারিখ ইমরান সমর্থকরা সুবিধা করতে পারেনি। পরে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি স্বামীর মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদ অভিমুখে বিক্ষোভের ডাক দেন। বুশরা বিবি এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুরের নেতৃত্বে হাজার হাজার পিটিআই কর্মী বিক্ষোভে শামিল হন। সোমবার বিশাল গাড়ির বহর নিয়ে তারা ইসলামাবাদের ডি-চকের উদ্দেশে রওয়া হন।বিক্ষোভ চলাকালে একটি গাড়ি দিয়ে হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর চার রেঞ্জার্স সদস্য নিহত হয়েছেন। রেঞ্জার্সের গুলিতে পিটিআইয়ের দুই কর্মী নিহত হন। মঙ্গলবার দিনভর পিটিআইয়ের সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর দেওয়া প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে বিকেলের দিকে ডি-চকে পৌঁছতে সক্ষম হন পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার পুলিশ এবং ফ্রন্টিয়ার কনস্ট্যাবুলারি ডি-চক থেকে কয়েক মিটার দূরে এক্সপ্রেস চৌক থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাত ৮ টার পরে একটি বিশাল অভিযান শুরু করে। নিরাপত্তা কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের জিন্নাহ অ্যাভিনিউ এবং ব্লু এরিয়া থেকে সরিয়ে দেয়। ওই সময় ব্যাপক গ্রেপ্তারের খবরও পাওয়া গেছে। তবে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বুশরা বিবি এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুরসহ পিটিআই নেতারা গভীর রাতের পশ্চাদপসরণ করেন। এর আগে তারা বিক্ষোভকারীদের ‘ঘরে ফিরতে, নৈশভোজ করতে এবং আগামীকাল ফিরে আসার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র ডন অনলাইনকে জানিয়েছে, পিটিআইয়ের নেতারা কোথায় গেছেন তা জানা যায়নি। তবে তথ্যমন্ত্রী আতা তারার দাবি করেছেন যে তারা হরিপুর হয়ে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ফিরে গেছেন।