1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৫ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ব্যস্থ সময় পাড় করলেও পানি সংকটে বোরো চাষীরা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৮৯ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারে হাকালুকি,কাওয়াদীঘি,হাইল হাওরসহ ছোট-বড় হাওর ও নিঞ্চাললে বোরো চাষাবাদের শুরুতেই দেখা দিয়েছে বীজতলা ও জমি ফেটে চৌচির। দেখা দিয়েছে হাওর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানির জন্য কৃষকের আহাজারি। তবুও চলতি বছরের তিন দফা বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বোরো চাষে আগ্রহ বেড়েছে। এরই মধ্যে অনেক চাষি চারা রোপণ কেউবা আবার জমি তৈরির কাজ করছেন। তাদের আশা, কৃষকদের প্রতি সরকারের সু দৃষ্টি দিলে ও কোনো রকম বৈরী আবহাওয়ার সম্মুখীন না হলে এ বছর ফলন পাবার।

তীব্র কনকনে শীত উপেক্ষা করে জমি প্রস্তুুত ও রোপণের কাজে কাঁক ঢাকা ভোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে হাল-চাষ,জমির আইল নির্মাণ,সেচ,সার-গোবর দেয়া, শ্রমিকদের তদারকি,চারা রোপনসহ অনেকে জমির আগাছা বাছাই করে এক স্থানে স্তুপ করে রেখে তা পরিচর্চা করে জমিতে ব্যবহার করছেন। আগাম জমি প্রস্তুত করে কে আগে ধানের চারা রোপন করবেন এমন প্রতিযোগীতা চলছে বোরো চাষী কৃষকদের মাঝে। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য গ্রাম গঞ্জসহ এখন সর্বত্র। অপরদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে পানির জন্য কৃষকরা বোরো চাষাবাদ করতে পারছেন না অভিযোগ উঠেছে। তারা বলছেন সময়মতো চারা রোপনের সময় পানি না পাওয়ায় তারা চাষাবাদ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে ধানের দাম বাড়ায় ও চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যায় ফসলী জমি তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থরা এবার বোরো ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে। দেশের বৃহত্তম হাকালুকিসহ সব কটি হাওর ও নিন্মাঞ্চরে বোরো চাষের ধুম পড়েছে। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বোরো চাষাবাদ করছেন চাষিরা। মানুষের ও এনজিও থেকে সুদে টাকা নিয়ে ইতি পুর্বে বন্যাকালীন সময়ে ধানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েও বোরো ধান চাষ করে পরিশোধ করতে নেমেছেন মাঠে। কৃষি অফিস থেকে বেশীর ভাগ কৃষক কোন সুযোগ সুবিধা না পাওয়ারও ক্ষোভ ও অভিযোগ করেছেন। তারা আরো জানিয়েছেন প্রকৃত কৃষকরা পাচ্ছেননা। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পানি,সার-বীজ, ডিজেল দাম কমানো ও সঠিকভাবে সরকারীভাবে বিনা মুল্যে সহযোগীতার দাবীও জানান কৃষকরা।


এদিকে কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে,মৌলভীবাজার জেলায় ছয়টি হাওড়সহ নিম্মাঞ্জলে ৬২হাজার ১শত হেক্টর জমি চাষাবদেও আওতায় আনা হয়েছে। ইতি মধ্যে সরকার কর্তৃক কৃষকদের প্রনোদনা,সার,বীজ ও কৃষি উপকরনসহ পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তুু কৃষকদের অভিযোগ বছরের পর বছর তারা সরকারের দেয়া কোন কিছুই পাননি। বরং কৃষক নয় এমন সব মানুষ দেয়ার অভিযোগ করেন। অপরদিকে এখনো অনেক এলাকায় পানির জন্য কৃষকরা বোরো চাষাবাদ করতে পারছেন না অভিযোগে উঠেছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক ও কৃষি বিভাগের যৌথ সভায় মনু ব্রিজ বোরো চাষীদের উন্নয়নে ১৭ডিসেম্বর বন্ধ করা হবে এবং কৃষকরা তার সুফল পাবে।

এনিয়ে একাদিক বর্গাচাষীরা বলেন, কিস্তিতে সুদে টাকা এনে চাষ করতেছি- জানিনা কি হয় । মনু নদী প্রকল্পের সেচের পানি বিলম্বে আসায় চাষাবাদ একটু পিছিয়েছে। তবে কৃষি অফিস বা সরকারী কোন সহযোগীতা পাইনি। কৃষি বিভাগ প্রতি বছর আমাদের সহযোগীতা না করেই প্রচারনা করে আসছে। সার-বীজ না পাওয়ার অভিযোগ করেন চাষীরা।

হাওরপারের অসংখ্য কৃষকরা দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন, ‘ধানের দাম আগের চেয়ে বেশি হওয়ায় আমরা আগ্রহ নিয়ে চাষ করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও ক্যানেলগুলো ঝুপ জঙ্গলে আবদ্ধ ও সেচ পাম্প চালু না হওয়ায় পানি সমস্যার কারনে চারা বা জমিতে হাল চাষ করা যাচ্ছেনা। এ ছাড়া নিজেরা কাজ করি, সঙ্গে শ্রমিক নেই। শ্রমিক পাওয়া যায় না, পেলে অধিক টাকা দিতে হয়। ‘কিস্তিতে সুধে টাকা নিয়ে জমিতে চাষাবাদ করতেছি। সম্প্রতি বন্যায় সব হারিয়ে নি:স্ব কৃষকেরা। বোরো ফসল আমাদের সম্বল আর এটা দিয়েই সংসার চলে।

এবিষয়ে কৃষিবিদ সামছুদ্দিন আহমদ, সহকারী পরিচালক জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। ‘আশা করি এ বছর বোরো ফসলের ভালো ফলন হবে। ধানের দাম বাড়ায় কৃষকেরা ধান চাষে আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী হয়েছেন। আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি, মাঠ ঘুরে তাঁদের সমস্যা শুনে পরামর্শও দিচ্ছি। আমরা কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পারবো। এ ছাড়া কৃষকদের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান কাজ করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করা যাচ্ছে গত ৫বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অনেক বেশি ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষকদের পানি সমস্যা সমাধানে দৈনিক মৌসাছি কন্ঠকে জাবেদ ইকবাল, নির্বাহী প্রকৌশলী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে আগামী সম্প্রতি জেলা প্রশাসক ও কৃষিভিাগের যৌথ সভায় মনু ব্রিজ বোরো চাষীদের ১৭ ডিসেম্বর বন্ধ করা হবে। যাহার ফল তারা খোগ করতে পারবে।

চলতি বছরে বয়াবহ বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার সার বীজ ডিজেলের দাম কমিয়ে পৃষ্টপোষকতার দাবী এ অঞ্চলের কৃষকদের।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..