রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। উপজেলার গাওলা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভায় সারুলিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মাঝে অন্তত ২০ জনকে মোল্লাহাট উপজেলা ও খুলনা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সকলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নেতা-কর্মী সুত্রে জানা গেছে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ বলেন, বিভিন্ন কারণে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমানকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সিকদার জামাল উদ্দিন নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সাংগঠনিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় সারুলিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে গাওলা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা চলছিল। এমন সময় অব্যহতি প্রাপ্ত আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান ও হারুন আল রশিদের নেতৃত্বে ২/৩’শ সন্ত্রাসী চাইনিজ কুড়াল সহ সভাস্থলে এসে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে এবং নেতা -কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এঘটনায় বেশ কয়েক নেতা কর্মী আহত হয়। একপর্যায়ে বিএনপি কর্মীদের প্রতিবাদের মুখে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয় সন্ত্রাসীরা। শান্তি শৃঙ্খলা বিবেচনায় সভার কার্যক্রম স্থগিত করা হয় বলেও জানান তিনি। অনুরূপ বক্তব্য প্রদান সহ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাহেদ আলী ও সদস্য সচিব মোঃ জাহিদুল ইসলাম মিয়া জানান, সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৪০/৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এঘটনার জন্য হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিপক্ষ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তালিম সাহেবের একক স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে অন্যায়ভাবে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। তার নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী ওই সভায় যায় এবং তার নামে মিছিল করে। এমন সময় তিনি নিজেই মিছিল থামাতে চেষ্টা করেন। এরই মাঝে মঞ্চ থেকে নেতৃবৃন্দ চলে যায় এবং মাদ্রাসা ভবনের ২ ও ৩ তলা থেকে ইটের আধলা ছুড়ে তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এ হামলা চালানো হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এঘটনায় তার অনুসারী বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি। হারুন আল রশিদ বলেন, আমি সহ আমাদের প্রিয় নেতা শেখ হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী ওই সভায় যাই। তখন আমাদের উপর হামলা করে দলে অনুপ্রবেশকারীরা। এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যে মার খেয়েছে এবং যে মারছে সকলেই দলের, তাই কারো ওপর কোনো রাগ/ক্ষোভ নেই।