মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : বয়স মাত্র ২৫। এশিয়ান গেমসে হংকংয়ের বিপক্ষে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হয়েছিল টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক। সেবার খেলেছিলেন তিন ম্যাচ। এরপর এ বছর ১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন দুটি টি-টোয়েন্টি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজসহ খেললেন আরও দুটি। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচের ক্যারিয়ার। মূল দলের টি-টোয়েন্টি হিসাব করলে মাত্র চার ম্যাচের। তাতেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন পাকিস্তানের স্পিনার সুফিয়ান মুকিম।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪) সন্ধ্যায় বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২.৪ ওভার অর্থাৎ ১৬ বল করে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। যা তার ক্যারিয়ার সেরা তো বটেই পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগার। এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেছেন ওমর গুল ও ইমাদ ওয়াসিমকে।
ভেঙে দিয়েছেন গুলের ১৫ বছর আগের রেকর্ড। মুকিমের আগে পাকিস্তানের কেবল গুল ও ইমাদ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফাইফার পেয়েছিলেন। আজ মুকিম পেলেন এবং তাদের দুজনকে ছাড়িয়ে।
গুল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৬ রান দিয়ে ৫টি ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২.২ ওভারে ৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এরপর ইমাদ ওয়াসিম ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। আজ মুকিমের বোলিং তোপে জিম্বাবুয়ে ১২.৪ ওভারে মাত্র ৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায়। বিনা উইকেটে ৩৭ থেকে সবকটি উইকেট হারায় ৫৭ রানে যেতে। জবাবে পাকিস্তান মাত্র ৫.৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে। ম্যাচসেরা হন মুকিম।
তরুণ স্পিনার সুফিয়ান মুকিমের রেকর্ড গড়া ম্যাচে ১০ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আর তাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪) বিকেলে বুলাওয়েতে টস জিতে পাকিস্তান আগে ব্যাট করতে নেমে মুকিমের বোলিং তোপে ১২.৪ ওভারে মাত্র ৫৭ রানে অলআউট হয়। জবাবে ৫.৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। সাইম আইয়ুব ১৮ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩৬ ও ওমাইর ইউসুফ ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
তার আগে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৩৭ রান করে জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে ৫৭ রানে যেতেই অলআউট হয়ে যায় তারা। উদ্বোধনী জুটিতে ব্রিয়ান বেনেট ও মারুমানি ৩৭ রান তোলেন। বেনেট ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২১ ও মারুমানি ৩ চারে করেন ১৬ রান।
এরপর তাদের উইকেট মিছিল শুরু হয়। ১২.৪ ওভারে ৫৭ রানে সবকটি উইকেট হারায়। বিনা উইকেটে ৩৭ থেকে মাত্র ৪০ মিনিটের ব্যবধানে ৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় স্প্রিংবকরা। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে এটা কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
পাকিস্তানের স্পিনার সুফিয়ান মুকিম ২.৪ ওভার বল করে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। যা তার তো বটেই, পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগার। এ যাত্রায় মুকিম পেছনে ফেলেন ওমর গুল ও ইমাদ ওয়াসিমকে। মুকিমের আগে কেবল তারা দুজনই টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছিলেন ফাইফার।
আব্বাস আফ্রিদি ২ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ২ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া আবরার আহমেদ, হারিস রউফ ও সালমান আলী আগা ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হন মুকিম।