1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

হার দিয়ে শুরু, জয় দিয়ে ফেরার প্রত্যয় মিরাজের

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫১ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হলো হার দিয়ে। যদিও ২৯৪ রান সেন্ট কিটসের পিচে ভালো স্কোর।
কিন্তু শেরফানে রাদারফোর্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনে এই স্কোর ডিফেন্ড করতে পারেনি বাংলাদেশ।

তবে এই হেরে যাওয়া ম্যাচ থেকেও অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি নিজে দলের প্রয়োজনের সময় ১০১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি। ১৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় ক্যারিবীয়রা। আর তাতে ১১ ম্যাচ পর শেষ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে জয়ের দৌড়।

অল্পতে ২ উইকেট উইকেট হারানোর পর তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে জুটি গড়েন মিরাজ। তানজিদ ৬০ বলে ৬০ রান করে আউট হলেও মিরাজ ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু উইকেট ধরে রাখার তাগিদ থেকেই হাত খুলতে পারছিলেন না তিনি। সেঞ্চুরি না করতে পারা নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই তার। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেঞ্চুরি আমার জন্য কোনো ইস্যু ছিল না এবং আমার লক্ষ্য ছিল দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমি রান করতে চাচ্ছিলাম, যাতে ৪০ ওভারের আগে ভালো স্কোর পাওয়া যায়। আমার মনে হচ্ছিল, ৩০০-এর বেশি রান আমাদের জন্য ভালো পুঁজি হবে এবং আমি ওভাবে খেলেছি। ‘

‘আমি যখন শুরু করি, একজন সেট ব্যাটার আউট হয়ে গেছে এবং তানজিমও যখন আউট হলো এবং এরপর আফিফের সঙ্গে জুটি গড়ার পরেও আমি ঝুঁকি নিতে পারছিলাম না, কারণ আমি জানি একজন সেট ব্যাটার আউট হলে নতুন ব্যাটারের ওপর চাপ পড়ে যায়। এ কারণে আমি চালিয়ে যেতে চাচ্ছিলাম এবং যখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই সেট হলেন, আমি তখন মেরে খেলার চেষ্টা করতে শুরু করি। জাকের আলী ও রিয়াদ ভাই যেভাবে শেষ করেছেন তা দারুণ এবং এটা না হলে আমাদের রান অনেক কম হতো। কিন্তু আমরা ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ভালো করেছি,’ বলেন মিরাজ।

বাংলাদেশ দলে এখন অভিজ্ঞতার অভাবও প্রকট। মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তাওহীদ হৃদয়ের মতো ব্যাটাররা ইনজুরির কারণে দলে নেই। তবে নতুনদের জন্য এটাই শেখার দারুণ হিসেবে দেখছেন মিরাজ, ‘সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকলে অনেক আউটপুট এবং তথ্য দেন। রিয়াদ ভাই ও লিটন দাস অনেক সহায়তা করেন। প্রতিপক্ষে মাঠে খেলা এমনিতেই চ্যালেঞ্জিং এবং আমাদের বোলারদের জন্য এটা ভালো সুযোগ যে কীভাবে চাপ সামলাতে হয় সেটা শেখার। আমার মতে, এই ম্যাচে আমাদের অনেক ইতিবাচক বিষয় নেওয়ার আছে। ‘

প্রথম ম্যাচ হারলেও মিরাজের বিশ্বাস, পরের ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। যদিও শেষ ৫ ওয়ানডে সিরিজের ৪টিতেই হেরেছে তারা। মিরাজ বলেন, ‘মাত্র এক ম্যাচ হেরেছি। ফলে আমাদের সামনে সুযোগ আছে এবং পরের ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার সুযোগও আসবে। ব্যাটিংয়ে আমরা ভালো করেছি এবং ভালো সংগ্রহ পেয়েছি। আমাদের বোলাররা ভালো বোলিং করেছে, কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে ওরা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) জুটি গড়েছে এবং আমরা উইকেট নিতে পারিনি এবং ওই জুটিই আমাদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। ‘

‘আমাদের বোলাররা প্রথমদিকে ভালো করেছে। প্রথম ২৫-৩০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের হাতেই ছিল। শেষ ২০ ওভারে ওরা মেরে খেলে ম্যাচ বের করে নিয়েছে। কিন্তু এই ম্যাচ থেকেও অনেক পজিটিভ দিক আছে। যেমন আমাদের ব্যাটাররা ভালো করেছে এবং শুরুর দিকে বোলাররাও ভালো করেছে। কিছু জায়গায় উন্নতি করলে আমরা জিতেও যেতে পারতাম। ‘

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..