1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৯ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

পেঁপের পুষ্টিগুণ অনেক

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৫৫ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : পাকা পেঁপের গন্ধে নাক সিঁটকোন অনেকেই। কিন্তু জানেন না পাকা পেঁপের কত গুণ।
চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সবাই এই ফলটিকে ‘মহাওষুধ’ বলে মনে করেন। আমাদের দেহে বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে লিভার। আমরা যেহেতু সেভাবে বুঝতেও পারি না, তার চিন্তাও করি না। প্রিয় ফল পেঁপে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। লিভার ভালো রাখতে নিয়মিত খেতে হবে পুষ্টিকর পেঁপে। তবে পেঁপের বীজ এবং গাছের পাতাও সমান উপকারী আমাদের লিভারের জন্য। পেঁপেতে থাকা ড্যানডেলিওন, মিল্ক থিসল লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে ফল বা জুস হিসেবে খাওয়া হয়। আবার কাঁচা পেঁপে সালাদ বা সবজি হিসেবে রান্না করেও খাওয়া যায়।

উপকারিতা

* পেঁপে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

* অকার্যকর কিডনিকে সচল করতে পেঁপে বীজের রস উপকারী। পেঁপের বীজে ফ্লাভোনোইডস ও ফিনোটিক নামক উপাদান রয়েছে, যা কিডনি রোগ প্রতিরোধ করে।

* পেঁপে বীজের রস পান করলে পাকস্থলী সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

* কাঁচা পেঁপে কাটার পর যে সাদা কষ বের হয় তা ক্ষতস্থানে লাগালে ক্ষত সেরে যায়।

* পেঁপে বীজের রস প্রতিদিন খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে, ওজন কমে, উচ্চ রক্তচাপ হয় না, শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা স্বাভাবিক থাকে।

* পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কয়েক টুকরো কাঁচা পেঁপে লবণ ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপায় উপকার পাওয়া যায়। দশ চামচ পেঁপের কষ ৭-৮ চামচ পানিতে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে উকুন থাকে না।

* কাঁচা পেঁপেতে পেপেইন নামক হজমকারী দ্রব্য থাকে, যা অজীর্ণ, কৃমি সংক্রমণ, আলসার, ত্বকে ঘা নিরাময়ে কাজ করে।

* পেঁপে খেলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ সহজেই বেরিয়ে যায়। চিকিৎসকরা ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের কাঁচা পেঁপের তরকারি খাওয়ার পরামর্শ দেন।

* ত্বক সজীব রাখতে পাকা পেঁপের প্রলেপ মুখে লাগাতে পারেন।

* রক্ত আমাশয় হলে সকালে কাঁচা পেঁপের কষ ৫ থেকে ৭ ফোঁটা ৬টি বাতাসার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। দুই থেকে তিন দিন খাওয়ার পর রক্ত আমাশয় কমতে থাকবে।

* কৃমি হলে পেঁপের কষ ১৫ ফোঁটা ও মধু এক চা চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। আধাঘণ্টা পর উষ্ণ পানি আধা কাপ খেয়ে তারপর এক চামচ চুনের পানি খেতে হয়। এভাবে দুদিন খেলে কৃমির উপদ্রব কমে যাবে।

* আমাশয় ও পেটে ব্যথা থাকলে কাঁচা পেঁপের কষ ৩ ফোঁটা ও এক চামচ চুনের পানি মিশিয়ে তাতে একটু দুধ দিয়ে খেতে হবে। একবার খেলেই পেটের ব্যথা এবং আমাশয় কমে যাবে।

* যকৃৎ বৃদ্ধি পেলে তিন ফোঁটা পেঁপের কষ এক চামচ চিনি মিশিয়ে এক কাপ পানিতে ভালো করে নেড়ে মিশ্রণটি সারা দিনে তিনবার খেতে হবে। ৪ থেকে ৫ দিন পর থেকে যকৃতের বৃদ্ধিটা কমতে থাকবে। তবে ৫ থেকে ৬ দিন খাওয়ার পর সপ্তাহে দুদিন খাওয়াই ভালো। এভাবে এক মাস খেলে উপকার পাবেন।

* কয়েক টুকরো পাকা পেঁপের শাঁস আর সামান্য লবণ এবং একটু গোলমরিচের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে পেটফাঁপা উপশম হবে।

* দেড় চামচ পেঁপে পাতার রস এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। জ্বর, বমি, মাথায় যন্ত্রণা, শরীরের দাহ কমে যাবে।

* কাঁচা পেঁপে গাছের আঠা দাদে এক দিন পর পর ৩-৪ দিন লাগালে দাদ মিলিয়ে যাবে।

এই প্রতিবেদন সচেতনতার জন্য লেখা। সবার শরীর সমান নয়। তাছাড়া বিভিন্স অসুখবিসুখও থাকে অনেকের। তাই পেঁপে খাবেন কি না এবং কী পরিমাণে খাবেন, তা চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেবেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..