রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৬ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিনিয়র সাংবাদিক ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান বলেছেন, সকলের সমালোচনা করুন, যারা পাবলিক অফিস হোল্ড করেছেন তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনুন, না তেলিয়ে প্রশ্ন করুন। ভুলভ্রান্তি ও অন্যায় করলে তুলে ধরুন; কিন্তু দোহাই আল্লাহর, নিন্দা করবেন না, কুৎসা রটাবেন না, গালাগালি করবেন না, চরিত্রহনন করবেন না।
বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।
মারুফ কামাল খান ওই পোস্টে আরও লিখেছেন, এখনও সময় খুবই স্পর্শকাতর, ক্রান্তিকাল কাটেনি। এখনকার অগ্রাধিকার আপনারা জানেন। পারস্পরিক বিষোদ্গার কিন্তু এখন ভয়ানক আত্মঘাতী হচ্ছে। অতএব, কমরেডস প্লিজ হোল্ড ইয়োর টেম্পার। শান্ত থাকুন। সংযত থাকুন। প্রতিশোধ ও ক্ষতির ইচ্ছাকে অবদমিত রেখে লক্ষ্যে স্থির ও অবিচল থাকুন৷ এখন সবচেয়ে বেশি দরকার ঐক্য, শৃঙ্খলা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা। প্রয়োজন সুবিন্যস্ত থাকা। ভাগ হইয়েন না। ভাগ হইলে কিন্তু বাঘে খাবে।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার কথা স্মরণ করে তিনি লিখেন, হাসিনা রেজিমে আতি ও পাতি নেতা, নেতার হাতা এমনকি লতাপাতার বিরুদ্ধে কিছু বললেই ‘ধইরা বাইন্ধা’ লইয়া যেত। তাই যা-কিছু বলার তার বেশিরভাগই বলতে হতো বিদেশে পালিয়ে গিয়া। তাও বিপদ ছিল। দেশে থাকা আত্মীয় স্বজনদের ওপর অত্যাচার করতো। এই চব্বিশে গণেশ উলটে যাওয়ার পর থেকে দেশে এসেছে অবারিত স্বাধীনতা। এখন যে-কোনো নেতা, রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, যে-কোনো উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, পুলিশ প্রধান, যে-কোনো জেনারেল, আমলা, ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিবি, এসবি, সিআইডির চৌদ্দগোষ্ঠী ধুয়ে দেওয়া যায়। দেশে বসেই দেওয়া যায়। বিদেশে বসে গাল দিলে তো কোনো সমস্যার প্রশ্নই উঠে না।
এটাই স্বাধীনতা, এটাই পরিবর্তন। এ পরিবর্তন ভালো না মন্দ তা নিয়ে তর্ক উঠলে আমি ভালোর পক্ষেই বলি।
সিনিয়র এই সাংবাদিক আর লিখেন, আজ একটা কথা খুব বলতে ইচ্ছে করছে। সেটা হলো স্বাধীনতার কিন্তু দায়িত্বশীলতার একটি দিক আছে। আমি যত বেশি স্বাধীন হবো আমার দায়িত্বশীলতাও কিন্তু ততটাই বাড়াতে হবে। এই দায়িত্বশীলতা মানে সংযমের কথাটা বলার ইচ্ছে প্রবল হয়েছে মিডিয়ায় হাসিনা রেজিমের বিরুদ্ধে লড়াই করা সৈনিকদের যুধ্যমানতা দেখেশুনে। একজন ‘ছোটোলোক’ হিসাবে ওই লড়াইয়ে ছোটখাটো ভূমিকা আমিও পালনের চেষ্টা করেছি, তবে কোনো কৃতিত্বের দাবিদার নই। বরং লড়াইয়ের ডিজিটাল সৈনিকেরা প্রায় সকলেই আমার অতি প্রিয়ভাজন- এই পরিচয়েই আমি গৌরব বোধ করি।