1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

চাকরির প্রলোভনে প্রতারণার ফাঁদ, গ্রেপ্তার

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১
  • ২৯৯ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জাল সনদ-সিল ব্যবহারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। এই চক্রের মূল হোতা আব্দুল মালেককে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে এলিট ফোর্সটি। এ সময় বিপুল পরিমাণ জাল কাগজপত্র ও সিল জব্দ করা হয়।রাজধানীর মনিপুরীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে র‌্যাব-৪ তাদের গ্রেপ্তার করে।র‌্যাব-৪ থেকে জানানো হয়, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, একটি সংঘবদ্ধ পেশাদার চক্র সাধারণ জনগণকে চাকরি দিয়ে এবং চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে আমরা র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন মনিপুরীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত জাল সনদপত্র ও বিভিন্ন নথিপত্রসহ একজনকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি তার কৃত অপকর্মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন জানিয়ে র‌্যাব-৪ জানায়, পলাতক আসামি আব্দুর রাজ্জাক (৫০), আল-আমিন (২৫) এবং অবিনাশ (৩২)-সহ অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় তারা এই প্রতারণার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।প্রতারক চক্রের মূলহোতা আব্দুল মালেকের প্রতারণা কৌশল সম্পর্কে র‌্যাব জানায়, প্রথমে নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তিনি এজেন্ট নিয়োগ করে চাকরিপ্রার্থীদের সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। এরপর সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তিন অধিকসংখ্যক চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে ‘এমভিশন’ নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করেন। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কোটা যেমন জেলা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, এতিম কোটা, আনসার কোটা প্রভৃতি শ্রেণিকরণ করেন। তালিকা করে প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই করেন। এরপর স্ট্যাম্পে চুক্তির মাধ্যমে টাকা অথবা জমির দলিল জমা রাখার শর্তে চাকরিপ্রার্থীদের সাথে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তিশেষে বিভিন্ন মাধ্যম যেমন-লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীর ছবি পরিবর্তন/প্রশ্নফাঁস/প্রার্থীকে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পাস করানো হয়। এরপর কোনো চাকরিপ্রার্থী চুক্তিবদ্ধকৃত টাকা দিতে না পারলে জমাকৃত জমির দলিলের মাধ্যমে প্রার্থীর জমি দখল করেন।

এছাড়া নাগরিক সনদপত্র পরিবর্তন, জন্মসনদ পরিবর্তন, চারিত্রিক সনদপত্র, এতিমখানার সনদপত্র, প্রতিবন্ধী সনদপত্র, চেয়ারম্যান প্রত্যয়নপত্র পরিবর্তন করে যেসব জেলায় অধিকসংখ্যক জনবল নিয়োগের উল্লেখ থাকে সেসব জেলার প্রার্থীর ভুয়া নাম-ঠিকানাও ব্যবহার করা হতো।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..