1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

দেশে ভূমিকম্পের শঙ্কা আছে, ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে উদ্যোগ নেই: ঢাবি অধ্যাপক

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪০ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাবি: সক্রিয় টেকনোক্রেট প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। তবে সে ঝুঁকি মাথায় রেখে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের কোনো ব্যবস্থা বাংলাদেশ করছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সাইন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান।

মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) বাংলানিউজের সঙ্গে সম্প্রতি ঘটা দুটি ভূমিকম্পের বিষয়ে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

এদিন সকাল ৭টা ৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর আগে ৩ জানুয়ারি রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রায় বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

ভূমিকম্প দুটিরই উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের বাইরে। শেষেরটির উৎপত্তিস্থল ৬১৮ কিলোমিটার দূরে চীনের জিজাং এলাকা। আর ৩ জানুয়ারির ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশ থেকে ৪৮২ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের হোমালিন নামের একটি স্থান।

বাংলাদেশ থেকে দূরে অবস্থিত হওয়ায় এসব ভূমিকম্প বাংলাদেশের জন্য তেমন কোনো এলার্মিং কিছু নয় বলে মনে করছেন অধ্যাপক জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, এগুলো দূরের ভূমিকম্প। বাংলাদেশে এগুলোর তেমন কোনো প্রভাব নেই। তিব্বতে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশে কিছুই হয়নি। এর আগে ৩ তারিখ যে ভূমিকম্প হয়েছে, সেটিও এলার্মিং কিছু না বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে সক্রিয় টেকনোক্রেট প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশে ব্যাপক ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান তিনি।

অনেক আগে পৃথিবীর সব স্থলভাগ একত্রে ছিল। পৃথিবীর উপরিভাগে কতগুলো অনমনীয় প্লেটের সমন্বয়ে গঠিত বলে ধীরে ধীরে তারা আলাদা হয়ে গেছে। এই প্লেটগুলোকেই বিজ্ঞানীরা বলেন টেকটোনিক প্লেট। টেকটোনিক প্লেটগুলো একে-অপরের সঙ্গে পাশাপাশি লেগে থাকে। কোনো কারণে এগুলোর নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেই তৈরি হয় শক্তি। এই শক্তি সিসমিক তরঙ্গ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। যদি তরঙ্গ শক্তিশালী হয়, তাহলে সেটি পৃথিবীর উপরিতলে এসে পৌঁছায়। আর তখনো যদি যথেষ্ট শক্তি থাকে, তাহলে সেটা ভূত্বককে কাঁপিয়ে তোলে। এই কাঁপুনিই মূলত ভূমিকম্প।

জিল্লুর রহমান বলেন, আমাদের এই ঝুঁকি মাথায় রেখে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে কাজ করতে হবে। কিন্তু আমরা তা করছি না। ভূমিকম্প ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ব্যবস্থা করলে মৃত্যু ঝুঁকি কমানো যাবে।

ঘনবসতি, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, বিল্ডিং কোডের দুর্বল প্রয়োগসহ কয়েকটি কারণে একইমাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশের কাছাকাছি হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের দেশে অনেক বেশি ক্ষতি হবে। আমাদের এখানে পরিকল্পনাহীন অনেক ভবন আছে। তিব্বতে যে ভূমিকম্প হয়েছে, ঢাকার ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে এরকম ভূমিকম্প হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অন্য অনেক দেশ থেকে বেশি হবে।

এসব ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে বিভিন্ন মেয়াদে পরিকল্পনা গ্রহণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। তবে যেভাবে দরকার, আমরা সেভাবে করছি না। আমাদের যথাযথ বিল্ডিং কোড প্রয়োগ করা দরকার। এছাড়া যেসব বিল্ডিং ইতোমধ্যে আছে, সেগুলোও ঝুঁকি বিবেচনা করা উচিত।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..