অর্জুন দেবনাথ : ঈদুল আযহা উপলক্ষে বন্ধ থাকা মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাঁধা উপেক্ষা করে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। পদ্মকন্যার নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, প্রকৃতির সৌন্দর্যের অপার লীলা নিকেতন রেইন ফরেস্ট লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান আর ঝর্ণা সুন্দরী’র হামহাম জলপ্রপাত, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ বৃহস্পতিবার দিনভর ছিল দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত।সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার পর্যটকরা। বুধবার ঈদের দিনসহ ঈদের পরের দিন বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। মাধবপুর লেক আর লাউয়াছড়া উদ্যানে দেখা মিলে এসকল উঠতি বয়সী দর্শনার্থীদের। লকডাউন শিথিল হওয়ার কারণে নিরাপত্তাকর্মীদের বাঁধা উপেক্ষা করে পর্যটকরা ঢুকে পড়েন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও মাধবপুর লেকসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে। বুধবার ঈদের দিন বিকেলে লাউয়ামাধবপুর চা-বাগান লেকে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নারী-পুরুষ ও শিশুরা দলবেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
লেকে প্রবেশের অদূরে চা-কারখানার সামনের গেটে পর্যটকদের মোটরসাইকেল ও যানবাহন আটকে দিলেও টাকার বিনিময়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে পর্যটকদের। কেউ কেউ টাকা দিতে না পেরে লুকিয়ে চা-বাগানের ভেতর দিয়ে পাঁয়ে হেঁটেই লেকে প্রবেশ করছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাধবপুর লেকের গেটম্যান বলেন, ‘দেশের পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রেখেছে। মাধবপুর লেকও বন্ধ ছিল। কিন্তু ঈদের দিন সকাল থেকে লেকে পর্যটকরা প্রবেশ করছে। কারও মুখে মাস্ক নেই, মাস্ক কোথায় জিজ্ঞাসা করলেও ধমক দেয় আমাদের। সামনের গেইটগুলোর দায়িত্বে থাকা গেটম্যানরা ভেতরে মোটরসাইকেল ও পাঁয়ে হেটে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে বলেই তো এতো পর্যটকের ঢল নেমেছে। আমাদের কিছু করার নেই।’কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ কোনভাবেই মানা যাবে না। দলবেঁধে এভাবে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে ঘুরে বেড়ানোর কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।’