সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১৭ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের যুবদল নেতা নোমান হোসেন (৩৪) হত্যা মামলার দুই আসামিকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার বর্ণি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এ হত্যার দায় স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এরা হচ্ছে- উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের ছবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ (২৩) ও কালাইউরা গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সহিদের ছেলে রায়হান আহমদ রেহান (২৪)।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বাড্ডাবাজারে যুবদল নেতা নোমান হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মারজান আহমদ, রায়হান আহমদ রেহান ও তাদের সহযোগিরা। নিহতের বাবা লেচু মিয়া আগর-আতর ব্যবসার পাওয়া টাকার জেরে ছেলেকে খুন করার দাবি করলেও স্থানীয় এশাধিক সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসার লেনদেনের পূর্ব-বিরোধের জেরেই মারজান আহমদ, রায়হান আহমদসহ প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেনকে হত্যা করেছে।
মামলার এজাহারে নিহতের বাবা লেচু মিয়া জানান, নোমান হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি আগর-আতর ব্যবসা করতেন। রায়হান আহমদ রেহানের নিকট নোমানের আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। দীর্ঘদিন ধরে রায়হান পাওনা টাকা না দিয়ে নোমানকে ঘুরাচ্ছিল। টাকা আদায় করতে না পেরে নোমান এলাকার মুরব্বিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নোমানকে পরিকল্পিতভাবে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বাড্ডাবাজারের জনৈক জায়েদ আহমদের দোকানের সামনে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত নোমান হোসেনের বাবা লেচু মিয়া সোমবার (২০ জানুয়ারি) মারজান আহমদ, রায়হান আহমদ রেহান, আবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ ও জাকির আহমদের নামোল্লেখ ও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওসি আব্দুল কাইয়ূম জানান, নোমান হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে বুধবার রাতে বর্নি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।