1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শ্রীমঙ্গলে এই প্রথম বানিজ্যিক ভাবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলত

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৯০ বার পঠিত

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে এই প্রথম বানিজ্যিক ভাবে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতা পেয়েছেন এক কৃষক। উপজেলার সিন্দুর খান ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামে কৃষক যুবক রায়হান আহমেদ পরীক্ষামূলকভাবে এ পেঁয়াজ চাষাবাদ করে আশানুরুপ ফলন পাওয়ায় তিনি খুশি। তিনি এখন বড় পরিষরে পেঁয়াজ চাষের স্বপ্ন দেখনছেন। তার দেখাদেখি এলাকার অন্যান্য কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে উৎসহিত হচ্ছেন বলে জানান ওই কৃষক।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানায়, শুধু গ্রীষ্মকাল নয় এ জাত থেকে ১২ মাসই ফলন পাওয়া সম্ভব। মৌলভীবাজারে সাধারণত শীতকালেই পেঁয়াজ চাষ হয়। তবে তা ব্যাপকহারে বানিজ্যিকভাবে হয় না। গত বছরের অক্টোবরের শেষে লাল তীর সীড কোম্পানীর কাছ থেকে গ্রীষ্মকালীণ এলটি হাইব্রিড বিজিএস ৪০৩ ও রেড হিল নামে দুটি জাতের পেঁয়াজ বীজ রোপন করেন শ্রীমঙ্গলের খলিলপুর গ্রামের রায়হান আহমেদ।
কৃষক রায়হান আহমেদ জানান, গ্রীষ্মকালে রোপনের জন্য তিনি এই দুই জাতের চারা এনে রোপন করতে চেয়েছিলেন। বৃষ্টির কারনে ও মাঠ ঠিক না হওয়ায় তিনি অক্টোবরের শেষে তার বাড়ির পাশে পৃথক পৃথক ভাবে তিন শতাংশ জমিতে দুটি জাত রোপন করেন। নভেম্বরের চারা গজাতে শুরু করে এবং জানুয়ারীতে এসে ফলন হয়। তিনি আরো জানান, এটি রোপনের পর তেমন কোন পরিশ্রম করতে হয়নি। পোকারও কোন উপদ্রপ নেই। তবে ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সাধারণত আমরা শীতকালীন সবজী চাষ করি। এই প্রথম গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ চাষ করেছি। এবং ফলন ভালো পেয়েছি। দেড় শতাংশ জমিতে প্রায় ৮০ কেজি পিঁয়াজ পেয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো আলাউদ্দিন জানান, মুলত বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে সেপ্টেম্বর এর বীজ রোপন করেন অক্টোবরের শেষে। জানুয়ারীতে এসে তিনি এর ভালো ফলন লক্ষ্য করেন। তবে দুটি জাতের মধ্যে বিজিএস ৪০৩ ভালো ফলন এসেছে। পেঁয়াজ অন্যান্য ফসলের থেকে লাভজনক এবং এর উৎপাদন খরচও অনেক কম। তাই এটি ব্যাপক হারে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পারলে দেশে পেয়াজ আমদানী কমবে।
লালতীর সীডের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী জানান, সিলেট বিভাগে এর আগে বানিজ্যিকভাবে শ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষাবাদ হয় নি। এই প্রথম এর বাম্পার ফলন লক্ষ করা গেছে।তিনি বলেন, প্রতি শতক জায়গায় ৩০ গ্রাম বীজ বপন করতে হয় এবং তিন মাস এর ভিতরে ফলন আসে। আর পেঁয়াজ গুলোর ওজন হয় ১৫০-৩০০ গ্রাম।
জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ জানান, এটি ভালো একটি লক্ষণ। গ্রীষ্মকালীণ পেঁয়াজ বিলম্বে রোপন করে ভালো ফলন পাওয়ায় আশা করা যাচ্ছে এ জাতটি ১২ মাসই ফলন দিবে। এ বিষয়ে মাঠ দিবস করে এর ফলনের কথা এলাকার সকল কৃষকদের জানানো ব্যবস্থা করা হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..