মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোটার: আজ মঙ্গলবার সারা দেশে মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ঘণ্টায় মারা গেছেন আরো ২৫৮জন। এ পর্যন্ত এটিই প্রানহানীর সর্বোচ্চ সংখ্যা। আর এ সময়ে নতুন করে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরো ১৪হাজার ৯২৫জনের শরীরে।
এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ৭৭৯ জনে। আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৫২ জন। করোনাভাইরাস নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় আজ মঙ্গলবার ‘কঠোরতর’ লকডাউনের মধ্যেও প্রায় প্রতিটি সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। নানা অজুহাতে বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। অনেক স্থানে দোকানের শাটার অর্ধেক (হাফ) খুলে ব্যবসা করছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ অর্ধেকের তোয়াক্কা না করে পুরো শাটারই খোলা রাখছেন এমন চিত্র দৈনিক মৌমাছি কন্ঠের চোখে পড়ে। দিন দিন জনসমাগম যেহারে বাড়ছে সংক্রমন বেড়ে যাওয়ার মারাত্বক আশংকা দেখা দিয়েছে। নানা টাল বাহানা প্রশাসনের কাছে দিলে ও বিনা প্রয়োজনে বের হওয়ায় অনেকের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা হচ্ছে।
মাঠে রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন,সেনাবাহিনী, বিজিবি,পুলিশ ও র্যার এবং আনসার সদস্যদের টহল জোরদার রয়েছে। গুরুত্বপুর্নস্থানে পুলিশ বক্য্র বসিয়ে দিবা-রাত্রি পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালনে জনগনের মুখোমুখি হচ্ছেন।
লকডাউনের শুরুতে মৌলভীবাজার জেলার প্রধান প্রধান সড়কে যানবাহনের সংখ্যা ছিল হাতেগোণা। মানুষের আনাগোনাও ছিল একেবারেই কম। কিন্তু গতকাল রবিবার থেকে ধীরে ধীরে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। সেই করেনাকে কেয়ার না করেই অলিগলিসহ ফুটপাতে চটপটি দোকানে বসে সকাল- সন্ধা আড্ডা দিয়ে ফুসকা খাচ্ছেন। অনেকের মুখেই নেই মাস্কও। অলিগলিতে যে হারে তরুণ-যুবকদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। অনেক গলিতে চায়ের টং দোকান খোলা। অনেকে আবার দামী দামী প্রাইভেটকার নিয়ে রাস্তায় তবে সবচেয়ে বেশী সিএনজি অটোরিকশার দাপট এবং রিকশা চলছে অবাধে। বাড়ছে ফুটপাতে ভাসমান দোকানের পাশাপশি কাপড়ের দোকান,ইলেকট্রিকসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকানের শাটার অর্ধেক খোলা রেখে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয় কিছু প্রতিষ্টান রয়েছে যারা দোকানের ভেতরে ক্রেতা ঢুকিয়ে বেচাকেনা করছেন বহাল তবিহতে এমন অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এরা ফুটপাতে বসে অসহায়দেও ধমক দিয়ে বলতেছেন লকডাউন মানছোনা কেন। দোকান খোলা রাখা প্রসঙ্গে ফুটপাতে ভাসমাদের সাথে পালা দিয়ে ব্যবসায়ী বক্তব্য জানতে চাইলে তারা মারমুখী হয়ে ওঠেন। ‘লকডাউনে আমাদের পেটে লাথি পড়ছে, এখন ম্যাজিষ্ট্রেট ও সাংবাদিকরাও জ্বালাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন তারা।
এদিকে আজ সকাল থেকে বিকেল ৫ঘটিকা পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলায় ১৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ১৩৮টি মামলায় ৯১হাজার ৯শত ৫০ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে বলে প্রেস বিপিংয়ে জানিয়েছেন আসমাউল হুসনা, সহকারী কমিশনার ও এক্য্রিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মৌলভীবাজার।