বিশেষ প্রতিবেদক: শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ নিয়ে তদন্তে পাওয়া যায় সম্পদ বিবরনী দিয়েছে সেগুলো অধিকাংশই গোপন করা হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী মামলা মোকদ্দমার দিকে যাবো।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামী শুদ্ধতা”-দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামী শুদ্ধতা”“আসুন দুর্নীতির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হই,মৌলভীবাজারে দুদকের গণশুনানি অনুষ্টানে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এই স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুদকের গণশুনানি। দুদকের গণশুনানিতে মৌলভীবাজার বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা গ্রহণে হয়রানি বা দুর্নীতির অভিযোগকারী নাগরিকরা সরাসরি অংশ নেন।

রবিবার(১৮ মে) মৌলভীবাজারে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ-এর উদ্যোগে মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মৌলভীবাজারে দুদকের গণশুনানি অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।

প্রধান অতিথি বলেন- শেখ হাসিনা সহ তার পরিবারের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ নিয়ে তদন্ত কাজ করছে দুদক। তদন্তে পাওয়া যায় ইতিমধ্যে তারা সম্পদ বিবরনী দিয়েছেন ও বিগ নির্বাচনে দিয়েছেন তার টেকসেস পেয়েছি। আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। সেগুলোর সম্পদের অধিকাংশই তথ্য গোপন করা হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী মামলা মোকদ্দমার দিকে যাবো। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান, ভগ্নিপতি তাদের বিরোদ্ধে নানা অভিযোগের প্রমান পেয়েছি। এগুলো নিয়ে আমরা এগোয়াচ্ছি। তাদের বিরোদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে ও কিছু প্রক্রিয়াধীন আছে। দুদক দলিল, প্রমানসহ ভিক্তিক কাজ করে। দুদকের কাজ রাষ্ট্রীয় সম্পদ, সরকারী কর্মকর্তার দুর্নীতি, মানিল্যান্ডিং, অবৈধ সম্পদ অর্জন এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করে থাকি। মৌলভীবাজার জেলাকে আমরা অন্য জেলার তুলনায় ভাল জেলা বলছিনা। তবে আমরা দুর্নীতি মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ। গণশুনানিতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন, পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ গ্রহণের লক্ষ্যে গত ১৫ দিন ধরে মৌলভীবাজার কোর্ট এলাকা ও চৌমুহনীতে দুটি বুথ স্থাপন করা হয়। সেখানে দুদকের কর্মকর্তারা অভিযোগ সংগ্রহে নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে গণশুনানি সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি করা হয়।
গণশুনানিতে মৌলভীবাজার বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা গ্রহণে হয়রানি বা দুর্নীতির অভিযোগকারী নাগরিকরা সরাসরি অংশ নেন। সরকারী বিভিন্ন অফিসে হয়রানী ও ভোগান্তির স্বীকার মানুষ তাদের অভিযোগ তোলে ধরেন। তাদের অভিযোগের জবাবদেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী। ভোক্তভোগীদের সমস্যা দ্রুত ও কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানকে নির্দেশ দেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।