শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের গণপরিবহনগুলো ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। পাশাপাশি ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এদিকে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করায় আজো দারুন ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যার সম্মুখীন বেশি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১, ২, ১০ নম্বর, শ্যামলী, কল্যানপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, ফার্মগেট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে- রাস্তায় হাজার হাজার যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাসে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার কারণে অপেক্ষারতদের বেশির ভাগই কোনো পরিবহনেই উঠতে পারছেন না।
কথা হয় মতিঝিলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান আমেনা বেগমের সঙ্গে। বললেন, বাসের জন্য প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করছি কিন্তু বাস পাচ্ছিনা। কিছু কিছু বাস এসে থামলেও তাতে পুরুষদের জন্য আমরা নারীরা উঠতে পারছিনা। আমরাতো আর দৌড়ে গিয়ে জোরাজুরি করে বাসে উঠতে পারিনা। খুব ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গতকাল থেকে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি আমাদের নারীদের জন্য মহিলা বাসের সংখ্যা বাড়াতে।
অপর যাত্রী লাবন্য হক যাবেন নিউমার্কেট। বাসের জন্য তিনি সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে অপেক্ষা করছেন কিন্তু বাসে উঠতে পারছেন না তিনি৷ ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, করোনার কারণে বাসে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। বাস পর্যন্ত না থাকায় আমরা খুব ভোগান্তিতে আছি। বাস পাচ্ছিনা, সিএনজিও পাচ্ছিনা। দুই-একটা সিএনজি যাও আসছে তাতে ভাড়া বেশি চাচ্ছে। আবার একটি খালি সিএনজি এসে থামলে প্রায় ১০ বা ১২ জনের মতো মানুষ তার চারপাশে গিয়ে ঘিরে ধরে। এমন হলে কিভাবে যাবো সেটাই ভাবছি। দেখা যায়, মিরপুর থেকে মতিঝিল রুটে চলাচলকারী ট্রান্স সিলভা পরিবহনের বাসে বর্ধিত ভাড়া নিচ্ছেন কন্ডাক্টর। এ রুটে মিরপুর থেকে মোহাম্মদপুর পর্যন্ত আগে যাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও আজ নেওয়া হচ্ছে ৪৫ টাকা। আর এ নিয়ে কিছু কিছু যাত্রীদের সঙ্গে জড়াতে হচ্ছে বাকবিতণ্ডায়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতার কথা বলা হলেও দেখা যায়নি হ্যান্ডস্যানিটাইজারের ব্যবহার।
ফার্মগেট এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন মোহাম্মদ জুবায়ের হোসেন। তিনি বলেন, গত দেড় ঘন্টা ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু বাসে উঠতে পারছি না। অফিস টাইম পার হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় সিএনজি বা পাঠাওয়ের বাইকও পাচ্ছিনা। কিভাবে অফিসে যাবো সেটাই বুঝতে পারছি না৷
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ১৮টি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। এর মধ্যে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ সিট ফাঁকা রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী দুই সপ্তাহের জন্য গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর আগেও করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গত বছর ৩১ মে বাস ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।