রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: গত ২ বছরে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ২ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
রোববার (০১ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় শোক দিবসে ইস্যুতে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, গত দুই বছরে দুই হাজার ২০০ অপরাধীকে গ্রেফতার করেছি। ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে অনেক ধরনের অপতৎপরতা হয়, ইয়াবার ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপতৎপরতা হয়। তবে এখন ক্যাম্পের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে এখন রাতে টহল দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশ ক্যাম্প রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে নেওয়া হয়েছে।
সেনা সহায়তায় ক্যাম্পের চারপাশে বেড়া দেওয়া হচ্ছে, এটা শেষ হলে আমি মনে করি ক্যাম্পে এখন যে অবাধ চলাচলের বিষয় আছে, সেটি বন্ধ হবে। এই বেড়ার বাইরে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে, এটা তৈরি করা হলে আমাদের পক্ষে ক্যাম্পের বাইরে টহল দেওয়া সুবিধা হবে, বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ক্যাম্পের বাইরে কিছু ওয়াচ টাওয়ার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্ষার কারণে কাজের গতি একটু কম। আমরা আশা করছি বেড়া দেওয়া, ওয়াকওয়ে ও ওয়াচ টাওয়ার এ বছরের মধ্যে নির্মাণ করা হবে। এসব কাজ শেষ হলে ক্যাম্পের শৃঙ্খলার জন্য আরও সুবিধা হবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাবার নিয়ে ঝামেলার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেখানে স্থানীয়ভাবে ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিডি, আইওএম কাজ করে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে আরআরআরসি কাজ করছে। সমস্যা নিরসনে সবাই কাজ করছে। আমি মনে করছি শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বেনজীর বলেন, সেখানকার সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। আগে যেখানে চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে দুই হাজার ২০০ জন কাজ করতেন, এদেরকে সাময়িকভাবে বিভিন্ন জেলা থেকে এনে নিয়োগ করা হত। তিন মাস পর বোটেট করা হত। এ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে নতুন করে একটি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, আমরা ঢাকা থেকে আরও একটি ব্যাটালিয়নকে রিলোকেট করেছি। এখন তিনটা ব্যাটালিয়ন ওখানে ৩৪টি ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে। আমরা ৩৪টি ক্যাম্পকে ক্লাস্টারে পুনর্বিন্যস্ত করেছি, একেকটা ক্লাস্টারের দায়িত্ব একেকটা এপিবিএন ক্যাম্পকে দেওয়া হয়েছে। ওখানে ২২টি এপিবিএন ক্যাম্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।