1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: রেলের কলঙ্ক, সাংবাদিকের উপর নৃশংস হামলা — অন্যায়ের প্রতিবাদে গর্জে উঠুন!

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৬৩ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের রেলপথে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা, দখলদারি ও সন্ত্রাসের চিত্র দেখা যায়।
টিকিট কাটা সাধারণ যাত্রীদের কাছে এই স্টেশনের নাম এক আতঙ্কের প্রতীক।

ঢাকা-সিলেট রুটের প্রতিটি ট্রেন থামার সাথে সাথেই প্রভাবশালী একটি চক্রের তাণ্ডব শুরু হয়।
যাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়, আসন দখল, ট্রেনের দরজা ও প্ল্যাটফর্মে জটলা সৃষ্টি — এসব যেন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রভাবশালী চক্রের সন্ত্রাস ও প্রশাসনের নীরবতা:-

স্টেশনের চারপাশে গড়ে ওঠা এই চাঁদাবাজ চক্র ট্রেন থামার সাথে সাথেই হুমকি, ধমকি, চাঁদাবাজি এবং টিকিটবিহীন যাত্রীদের ওঠানোর মতো অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।
এই চক্রের কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তা, সম্মান এবং জীবনের নিশ্চয়তা প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে পড়ছে।

শুধু সাধারণ যাত্রীরা নয়, সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছেন না।
সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ও দৈনিক আলোকিত সকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি তরফদার মামুন সত্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অপরাধে নির্মম হামলার শিকার হন।
এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এটি কোনো ব্যক্তিগত আক্রমণ নয় — এটি স্বাধীন সাংবাদিকতা, বাকস্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক চেতনার উপর সরাসরি আঘাত।

প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দায় প্রশাসন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এই অরাজকতাকে দিনে দিনে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। যখন তাদের চোখের সামনেই সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিক আক্রান্ত হন, তখন তা দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতাকে স্পষ্ট করে।

রেলওয়ের মূল দায়িত্ব:
যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
শৃঙ্খলা বজায় রাখা
সেবা ও বিশ্বাসের মান ধরে রাখা

কিন্তু বাস্তবে প্রভাবশালী চক্রের তোষণ এবং দায়সারা দায়িত্ব পালনই যেন এখন রেল কর্তৃপক্ষের মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের স্পষ্ট দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টপেজ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
দায়িত্বহীন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
যাত্রীদের জন্য নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ রেলপথ নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বমহলের প্রতিবাদ

দেশের বিভিন্ন সাংবাদিক, পেশাজীবী সংগঠন, মানবাধিকারকর্মী, সামাজিক আন্দোলনকারী এবং সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তারা দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এবং আহত সাংবাদিক তরফদার মামুনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
সাথে, ভবিষ্যতে এমন হামলা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি কিছু জ্বলন্ত প্রশ্ন

কেন এই চক্রের বিরুদ্ধে এতদিন ধরে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি❓
যাত্রী ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে❓
কার স্বার্থে এই সন্ত্রাসী চক্রকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে❓
রেলওয়ের সেবা ও সম্মান পুনরুদ্ধারে কি পরিকল্পনা আছে❓
বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও কেন প্রশাসন নীরব❓

শেষ কথা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই নৈরাজ্য আর নয়!
রেলপথকে সন্ত্রাসমুক্ত করুন, সাংবাদিকতা রক্ষা করুন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
আজই পদক্ষেপ নিন, নয়তো কাল হয়তো আরও ভয়ঙ্কর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে আমাদের সবাইকে।

Torofdar Mamun
মানবাধিকার কর্মী ও সংবাদকর্মী।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..