বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন
মশাহিদ আহমদ: মৌলভীবাজারে মারধরের পর স্ত্রীর চুলের খোপা কেটে তিনদিন ঘরের ভেতর নজরবন্দি করে রাখার ঘটনায় অবশেষে সেই নির্যাতনকারী স্বামী সোহেল মিয়া (৩৫) আটক করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ। মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ ইয়াছিনুল হক এর নেতিৃত্বে গত ১ আগষ্ট বিকেলে এসআই মাহবুবসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। সে সদর উপজেলার হাসানপুর গ্রামের ইয়াজ উদ্দিন এর পুত্র এবং পেশায় একজন সিএনজি চালক। আজ এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত তাকে আদালতে পাটানোর প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে- গত ২৪ জুলাই শনিবার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামে সুহিনী নামের (২৩) এই গৃহবধুর চুলের খোপা কেটে তিনদিন ঘরের ভেতর নজরবন্দি করে রেখেছিল স্বামীর পরিবারের লোকজন। পরে খবর পেয়ে স্ত্রীর স্বজনরা তাকে বিচলিত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজনগরে বাবার বাড়িতে নিয়ে যান। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত ২৬ জুলাই মৌলভীবাজার মডেল থানায় স্বামী সোহেল মিয়া, সাফিয়া বেগম, সুজনা বেগমগংদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। সুহিনীর অভিযোগ, ২০১৫ সালের সুহেল মিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর সংসার সুখেই কাটছিল। তাদের সাড়ে ৩ বছর বয়সের এক কন্যা সন্তানও আছে। বছর তিনেক ধরে সিএনজি চালক স্বামী সুহেল প্রায়ই তাকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার চাপ দেন। স্বামীর চাপাচাপিতে বাবার বাড়ি থেকে ঋণ করে ২০ হাজার টাকা এনেও দেন তিনি। কিন্তু পরে সুহেল আর তা পরিশোধ করতে পারেন নি। পরবর্তীতে আরো টাকা এনে দেওয়ার জন্য তাকে চাপ দিলে তিনি আর তা দেননি বলে তার উপর নির্যাতন চালান। তিনি মদ-গাঁজা ও নিশিবধুদের নিয়ে অবৈধ ব্যবসা শুরু করেন। বাধা দিলে চলে নির্যাতন। ধারাবাহিক নির্যাতনের একপর্যায়ে গত ২৪ জুলাই আমাকে বেধড়ক মারপিট করে আমার চুলের খোপা কেটে ঘরের ভেতর নজরবন্ধি করে রাখেন। আমার তিন বছরের শিশু সানিয়া কান্নাকাটি করায় পাশের বাড়ির লোকজন এসে আমার স্বজনদের খবর দেয়। পরে আমার ভাইরা ও আত্মীয় স্বজন মিলে আমাকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে আমি মৌলভীবাজার মডেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করি। মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই মাহবুব তাকে আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন- অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।