1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

রেজিস্ট্রেশন করেও ডাক আসেনি, অপেক্ষায় সাড়ে ৬৬ লাখ মানুষ

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১
  • ২৪২ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: দেশে করোনার টিকাপ্রত্যাশীদের লাইন দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। সাড়ে ৬৬ লাখ নিবন্ধনকারী টিকা নিতে নিবন্ধন করে অপেক্ষায় রয়েছেন। ১৪ লাখের বেশি মানুষ বহুদিন ধরে অপেক্ষায় আছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য।

গতকাল পর্যন্ত হাতে টিকা মজুত আছে মাত্র ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৬২ ডোজ। ২রা আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ৬০ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৬ জন। এটা প্রতিদিনই ৬ থেকে ৭ লাখ করে বাড়ছে।

দেশে করোনা প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। আর দ্রুত টিকার আওতায় আনতে ৭ই আগস্ট থেকে ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত ১ কোটি মানুষকে গণটিকা দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার।

এই লক্ষ্যে ২৫ বছর পূর্ণ হওয়া দেশের যেকোনো নাগরিককে নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

বলা হচ্ছে ১৮ ঊর্ধ্ব টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে ক্যাম্পেইনে। ইউনিয়ন পর্যায়ে হবে টিকাদান ক্যাম্পেইন। বয়স্ক ও অসুস্থদের অগ্রাধিকার থাকবে টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে। ১৮ বছরের নাগরিকরাও ৮ আগস্ট থেকে টিকা পাওয়ার লাইনে দাঁড়াতে পারবেন। কিন্তু এই বয়সের নাগরিকরা কি শুরুতে টিকা পাবেন? এই প্রশ্নটি সামনে এসেছে।

কারণ স্থানীয় পর্যায়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে টিকা নিতে কেন্দ্রে আসার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী ১১ই আগস্ট থেকে ১৮ বছরের উপরের নাগরিকদের টিকা না নেয়া থাকলে তাদেরকে ঘর থেকে বেরুতে নিষেধ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র বলছে, ক্যাম্পেইনে বয়স্ক ও অসুস্থদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সম্মুখসারির যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের যারা আঠারো বছরের উপরের তাদেরও টিকা গ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।

যেভাবে স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারণা চলছে তাতে আঠারো ঊর্ধ্ব সবাই টিকার জন্য ভিড় করলে বিশৃঙ্খলা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ কেন্দ্রে অনেক মানুষের সমাগম হলে সবাইকে টিকা দেয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। কারণ সরকার এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এক সপ্তাহে।

তবে কতো মানুষ টিকা নিতে চায় বা নেবে এর কোনো সম্ভাব্য পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন মাসে অন্তত প্রায় ২ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার। তাহলে করোনার ভয়াবহ থাবা থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।

পাশাপাশি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হবে। অন্যদিকে সরকারও টিকাদানে গতি বাড়াতে চায়। দ্রুত বেশি মানুষকে টিকা দিতে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতি মাসে ১ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে বিভিন্ন টিকা দেয়া হয়েছে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৮ ডোজ। এরমধ্যে টিকার ১ ডোজ নিয়েছেন ৯৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮২৯ জন এবং ২ ডোজ নিয়েছেন ৪৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৯ জন। এগুলো দেয়া হয়েছে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড, চীনের তৈরি সিনোফার্ম, ফাইজার ও মডার্নার টিকা।

২ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ৬০ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৬ জন। তবে গত কয়েকদিনের নিবন্ধনের গতিতে দেখা যাচ্ছে ৬ থেকে ৭ লাখ টিকাপ্রত্যাশী নিবন্ধন করছেন। পক্ষান্তরে গত এক সপ্তাহ ধরে আড়াই থেকে প্রায় ৩ লাখ মানুষ টিকা নিচ্ছেন প্রতিদিন।

উপহার এবং কেনা মিলে দেশে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯২০ ডোজ। এর থেকে প্রয়োগ করা হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৮ ডোজ। এখন হাতে আছে ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৬২ ডোজ। অন্যদিকে নিবন্ধন করে টিকার অপেক্ষায় আছেন ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রথম ডোজ নেয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জনের মধ্যে সাড়ে ১৪ লাখের মতো মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেয়া বাকি আছে। এদের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারই দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কেননা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো দুই কোম্পানির দুই ডোজের টিকা গ্রহণের কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।

গতকাল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সাতদিনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে টিকা দেয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এই সাতদিনে প্রায় এক কোটি টিকা আমরা দেবো, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রামের যারা বয়স্ক তাদের অগ্রাধিকার দেবো। কারণ তাদের মৃত্যু ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ।

গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ যারা তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন, সেই কারণে টিকা আমরা গ্রামে নিয়ে যাচ্ছি। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদের জন্য জন্মনিবন্ধনপত্র বা এসএসসি’র সনদ নিয়ে টিকা দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে সোয়া কোটি ডোজ টিকা আছে। আরও এক কোটি টিকা আমাদের হাতে এসে পৌঁছবে। অর্থাৎ টিকা কর্মসূচি বজায় থাকবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এনআইডি’র (জাতীয় পরিচয়পত্র) মাধ্যমে আমরা ভ্যাকসিন দেব। যাদের এনআইডি নেই তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেয়া হবে। এ বিষয়ে ঘোষণা আগেই দেয়া হয়েছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..