শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:১১ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবৈধভাবে উত্তোলন করা দুই লক্ষ ঘনফুট বালু জব্দ করেছে প্রশাসন। এ সময় পুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে বালু উত্তোলনের মেশিন। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত একজনকে আটক করে দেয়া হয়েছে এক মাসের কারাদন্ড।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের নির্দেশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের লক্ষে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ভূনবীর ইউনিয়নের সাতগাঁও চৌমূহনা, ভুনবীর চৌমূহনা, মির্জাপুর রোড, ভুনবীর গ্রাম ও বাদে আলিশারকুল গ্রামে অবৈধভাবে উত্তোলন করা প্রায় ২ লক্ষ ১ হাজার ১শ ২৭ ( দুই লাখ এক হাজার একশো সাতাশ) ঘনফুট বালু জব্দ করেন। তিনি জানান, জব্দকৃত বালু মঙ্গলবার দুপুর ২টায় বিধিমত নিলামে বিক্রি করা হবে।
শ্রীমঙ্গল সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেছার উদ্দিন জানান, কিছু অসাধু মানুষ নিজেদের স্বার্থে পরিবেশের ক্ষতি করে ধানি জমি খনন করে অবৈধভাবে ভুগর্ভস্থ বালু তুলছিলো। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে ভূনবীর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বালুসহ বালু উত্তোলনের মেশিন ও সরঞ্জামাদি জব্দ করেন। পরে ঘটনাস্থলেই বালু উত্তোলনের ২টি মেশিন পুঁড়িয়ে দেন এবং পাইপ গুলো কেটে ধ্বংস করে দেন। এ সময় ভুনবীর গ্রামের হাওর এলাকায় মেশিন দিয়ে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল ওয়াহিদকে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ৫(১) ধারা লংঘনের অভিযোগে ১৫(১) অনুযায়ী ১ ( এক) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে মৌলভীবাজার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তিনি জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে তাদের নাম সংগ্রহ করে এদের বিরুদ্ধেও নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম আরো জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে। এ অপরাধের সাথে যুক্ত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তিনি জানান, এর আগেও যারা এরকম কাজে জড়িত ছিলেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আরো কয়েক লক্ষ ঘনফুট বালু জব্দ করে তা নিলামে বিক্রি করে সে অর্থ রাজস্ব খ্যাতে জমা দেয়া হয়েছে।