বদরুল মনসুর :: শোকাবহ আগষ্ট মাসব্যাপী ইউ কে বিডি টিভির আলোচনার অনুষ্টান “শোকার্ত হৃদয়ের শ্রদ্ধা” শীরনামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেসা মুজিব-এর ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে
গত ৯ আগষ্ট সোমবার, ইউ কে সময় বিকাল ৬ টাnnয় এক ভ্যাচুয়ালি আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়েছে।
ইউ কে বিডি টিভির চেয়ারম্যান কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ইউ কে বিডি টিভির ফাইন্যান্স ডিরেক্টর সাবেক ছাত্রনেতা শাহ শাফি কাদির এর উপস্থাপনায় অনুষ্টিত আলোচনায় সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা এস এম কামাল হোসেন এমপি, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাবেক নেতা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সুইডেন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ৭১’এর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুহিত চৌধূরী টুটু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ কমিটির সদস্য “স্কুয়াড্রন লিডার এম সাদরুল” আহমেদ খান পলিট, রেডটাইমস এর প্রধান সম্পাদক এন্ড বাংলাদেশ প্রয়েটস সোসাইটির সভাপতি বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক সোমিত্র দেব টিটু, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক,
কাওসার চৌধুরী, বাংলাদেশ তরুন লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল বাছিত,
কবিতা আবৃত্তি করেন জনপ্রিয় টিভি প্রেজেন্টার উমি মাজহার, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব কবি মুজিবুল হক মনি, ও বাংলাদেশ থেকে প্রমি দেব, এ ছাড়াও দেশে বিদেশের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধাসুলতান মাহমুদ শরীফ সহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো অনুসরণ করে তাঁর প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনুপ্রেরণাদাত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব.
বক্তারা বলেন বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য গুণে গুনান্বিত বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতির পিতার নেপথ্য শক্তিদাতা, পরামর্শদাতা ছিলেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন জাতির জনকের জীবনে। তিনি শুধু স্ত্রী ছিলেন না, পথপ্রদর্শক ছিলেন, বন্ধু ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দেন- ‘রেনু আমার পাশে না থাকলে এবং আমার সব দুঃখকষ্ট, অভাব-অনটন, বারবার কারাবরণ, ছেলে-মেয়ে নিয়ে অনিশ্চিত জীবনযাপন হাসিমুখে মেনে নিতে না পারলে আমি আজ বঙ্গবন্ধু হতে পারতাম না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও যুক্ত থাকতে পারতাম না। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় সে আদালতে নিত্য হাজিরা দিয়েছে এবং শুধু আমাকে নয়, মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে। আমি জেলে থাকলে নেপথ্যে থেকে আওয়ামী লীগের হালও ধরেছে।’
বক্তারা বলেন ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাংলার মানুষের কাছে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার নাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় তো বটেই বঙ্গবন্ধুর পুরো রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো পাশে ছিলেন তিনি। সে কারণেই একটি জাতির মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন বপণ করে এর স্বাদও এনে দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে পেছন থেকে কাজ করেছেন শেখ মুজিবের প্রিয় রেণু। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ যেমন একই সূত্রে গাঁথা, তেমনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবও পরস্পর অবিচ্ছেদ্য নাম।
সভাপতির বক্তব্যে ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী হিসেবেই নয়, একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে যিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হিমালয় সমআসনে অধিষ্ঠিত করেছেন তিনি আমাদের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। অনুষ্ঠানের সাবিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর খায়রুল আলম লিংকন ও পোগ্রাম ডিরেক্টর হেলেন ইসলাম সহ অন্যান্য ডিরেক্টরবৃন্দ।