অব্যাহত বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের পাঁচটি নদী এখন ফুঁসছে। বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও প্রতিটি নদীই পানিতে ভরপুর। প্রতিনিয়ন পানি বাড়ছে। ফলে বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা, ধলাই এবং সারি নদীর পানি গতকালের চেয়ে আজ বেড়েছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
পাউবো জানিয়েছে, সুরমা নদীর পানি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় কানাইঘাট পয়েন্টে ছিল ১২ দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটার। আজ শনিবার সকাল ৯টায় পানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ সেন্টিমিটার। বিপৎসীমা থেকে মাত্র ০ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। সুরমা নদীর পানি বেড়েছে সিলেট পয়েন্টেও। গতকাল সন্ধ্যায় যেখানে পানি ছিল ৯ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার, আজ সেখানে ৯ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে গতকালের চেয়ে বেড়েছে ০ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার। গতকাল পানি ছিল ১৩ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার, আজ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৩৯ সেন্টিমিটার। শেওলা পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ছিল ১০ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার। আজ সকাল ৯টায় পানি ১১ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে।
কানাইঘাট দিয়ে বয়ে যাওয়া লোভা নদীর পানি গতকালের চেয়ে বেড়েছে ০ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার। লোভাছড়া পয়েন্টে এ নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যায় ছিল ১৩ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার। আজ সকালে পানি ১৪ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে গতকাল ছিল ১১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। আজ ০ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার বেড়ে হয়েছে ১১ দশমিক ৯৬ সেন্টিমিটার।এদিকে, ধলাই নদীর পানি ইসলামপুর পয়েন্টে গতকাল ১০ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ছিল, আজ বেড়ে ১০ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে বন্যা হতে পারে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি আছে।