1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলায় বিচার হয়নি ৬ বছরেও!

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১
  • ৩৫৭ বার পঠিত

 অনলাইন ডেস্ক: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে পুরনো ঢাকার হোসনি দালানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার শেষ হয়নি ৬ বছরেও।ওইদিন রাত দুইটার দিকে জেএমবির এই বোমা হামলায় দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার আইনি জটিলতার কারণে বিলম্বিত হয়। এরপর শুরু হয় আবার বিচার কাজ। কিন্তু করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় তা আবার থেমে যায়। সম্প্রতি আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সাক্ষী হাজির করে মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার আশা রাষ্ট্রপক্ষের। আসামিপক্ষও চাইছে, মামলাটির বিচার যেন দ্রুত শেষ হয়।

মামলাটিতে ২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযোগগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের পর গত চার বছরের অধিক সময়ে ৪৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে থাকা এ মামলায় সবশেষ গত ৪ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। মামলাটি সম্পর্কে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার জাকির বলেন, মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে। দুই আসামি নাবালক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিচারের জন্য সম্পূরক অভিযোগপত্র নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এ কারণে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ ছিল। এর মাঝে আবার কারোনার কারণে দু‘দফা আদালত সাধারণ ছুটিতে থাকায় বিচার কার্যক্রম হয়নি।

বর্তমানে আদালতের কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। এখন থেকে সাক্ষী নিয়মিত আদালতে হাজির করে যত দ্রুত সম্ভব মামলাটির বিচার শেষ করার চেষ্টা করবো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আশা করছি এবছরই মামলাটির বিচার শেষ হবে। আর আসামিদের যেন সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মেদ বলেন, এ পর্যন্ত যতজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে তারা কেউ আসামিদের নাম বলেননি। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬১ ধারায়ও সাক্ষীরা আসামিদের নাম বলেননি, এজন্য তাদের জেরাও করা লাগেনি। তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা হয়েছে এটা সত্য ঘটনা। তবে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।

ওই হামলায় ১৩ জঙ্গি জড়িত ছিল। এদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানের সময় তিন জঙ্গি ক্রসফায়ারে মারা যায়। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা সবাই জেএমবির সদস্য।

আসামিরা হলেন- ওমর ফারুক মানিক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ, শাহজালাল মিয়া, চান মিয়া, কবির হোসাইন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিক, আরমান ওরফে মাসুদ রানা মাসুদ ওরফে সুমন, রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব, আবু সাঈদ রাসেল ওরফে সোলায়মান ওরফে সালমান ওরফে সায়মন, আরমান ওরফে মনির, জাহিদ হাসান ওরফে রানা ওরফে মুসায়াব ও রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব ওরফে সুমন। আসামিদের মধ্যে আরমান, রুবেল ও কবির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী শাহাদাৎ ওরফে আলবানি ওরফে মাহফুজ ওরফে হোজ্জা ২০১৫ সালের ২৫ নভেম্বর রাজধানীর গাবতলীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’নিহত হয়। পরের বছর ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর হাজারীবাগে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় অপর দুই জেএমবি কমান্ডার আবদুল বাকি ওরফে আলাউদ্দিন ওরফে নোমান ও সাঈদ ওরফে হিরণ ওরফে কামাল।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..