1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

জুড়ীতে নামের সাথে মিল থাকায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সাজানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৪২ বার পঠিত

জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় নামের সাথে মিল থাকায় একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সাজানোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ৩রা এপ্রিল দুপুর ১২ টায় জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের বিরইনতলা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্বা মৃত সফিক মিয়ার একমাত্র ছেলে, প্যানেল চেয়ারম্যান মাহবুব আলম রওশন এক লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ পত্রে তিনি আরও বলেন, আমার পিতা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সরাসরি প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যার নাম ভারতীয় তালিকার ২২৩ নং পৃষ্টার ২৭৮২০ নং ক্রমিকে লিপিবদ্ধ রহিয়াছে। আমার বাবা মারা যাওয়ার পরে আমার মা জোবেদা খাতুন জমিলা গত ২০১৪ সালে সরকারের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ভাতার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন এবং দীর্ঘ ৪ বছর যাচাই বাচাই পুর্বক ২০১৮ সালে ভাতা মন্জুর করা হয়। সেই অবধি আমার মা এবং আমার মা মারা যাওয়ায় বর্তমানে আমি একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসেবে ভাতা গ্রহণ করে আসছি। ইতিপূর্বে জেলার কমলগন্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের আজিরুন বেগম ২০০৫ সাল থেকে বেসামরিক গেজেটের ১০৬১ নম্বর তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা মৃত সফিক মিয়া নামের ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। স¤প্রতি জামুকা কর্তৃক তার গেজেট নম্বরের তদন্ত শুরু হলে তিনি বিপাকে পড়ে যান। অবশেষে নামের সাথে মিল থাকায় জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা সফিক মিয়ার ভারতীয় তালিকা নম্বরটি তার স্বামীর নম্বর বলে দাবি করছেন। উল্লেখিত আজিরুন বেগম বিগত ২০০৫ সালে ভাতার জন্য আবেদনের সময় তিনি কোনো ভারতীয় তালিকা উল্লেখ করেন নি। তাছাড়া তার স্বামী না কি এক সময় জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন বলে মিথ্যা দাবী করতেছেন। অথচ তার জন্ম ও মৃত্যু সনদে তিনি কমলগন্জের কালেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তা ছাড়া আজিরুন বেগম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমি তাকে মা এবং তার স্বামীকে পিতা বানিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেজেছি। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। এ ছাড়া গত ২৪ শে মার্চ২০২১ তারিখে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উভয় পক্ষের বৈঠককালে উপস্থিত ফুলতলা ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্বা আব্দুল করিম ও ইব্রাহিম আলী সাহেব আমার পিতা সফিক মিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালিন ভারতের মাসিমপুর, রানীবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে একজন প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে তাদের সাথে কাজ করার স্মৃতি তুলে ধরেন। আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা নানাভাবে আমাকে প্রতিহিংসামুলক হয়রানী করার ষড়যন্ত্রে সবসময় লিপ্ত রয়েছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে গত ৩০ শে মার্চ জুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তাদের ইন্ধনে আজিরুন বেগম মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগের কোনো সত্যতা নাই।
কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মাহবুব আলম রওশন এর পিতার জীবনবৃত্তান্ত, জন্ম ও মৃত্যু সনদের সাথে কমলগঞ্জের সফিক মিয়ার কোনো মিল নাই। জুড়ীর সফিক মিয়ার মাতার নাম ছয়মুন বিবি, জন্ম তারিখ ১৫-০২-১৯৪৫ ইং মৃত্যু তারিখ ০২-০৯-১৯৮০ ইং এবং কমলগঞ্জের সফিক মিয়ার মাতার নাম আমিনা বেগম, জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫১ ইং মৃত্যু তারিখ ১১-১২-২০০৬ইং।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাকেশ পাল জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় বরাবর প্রতিবেদন পাটাবো। আপাতত তাহার ভাতা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে স্থাগিত আছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..