1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বাউফলে ভাঙন রোধে প্রকল্প একনেকে পাশ হলেও কাজ শুরু হয়নি এক বছরেও

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৩৫ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদীর করাল গ্রাস থেকে পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া ও পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপাশা ইউনিয়নকে রক্ষার জন্য হাজারো মানুষের আহাজারী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন,পানি সম্পদ প্রতি মন্ত্রীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরির্দশন শেষে একনেকে ভাঙন রোধে প্রকল্প পাশ হলেও কাজ শুরু হয়নি এক বছরেও। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চলমান ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষেরা। গত কয়েক বছর ধরে তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে শতশত ঘর বাড়ি,মসজিদ-মন্দিন,স্কুল-মাদ্রাসাসহ সরকারি স্থাপণা। সব হারিয়ে সরকারি রাস্তার পাশে আশ্রয় নিয়েছেন অসহায় পরিবারগুলো।ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে ধুলিয়া ইউনিয়নে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন ওই ইউনিয়নের জনগণ। গত বছর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামিম স্থানীয় এমপিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তিরা।

সর্বশেষ গত বছর ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে নদী ভাঙন রোধে ৭১২ কোটি ১২লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প পাশের এক বছর অতিবাহিত হলেও  অদৃশ কারনে কাজ শুরু করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ।  সরেজমিনে দেখা যায়,চলতি বর্ষা মৌসুমে তেঁতুলিয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ধুলিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট, মঠবাড়িয়া,নতুন বাজার এলাকায় প্রায় ৫০টি ঘর বাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ধুলিয়া বাজারের প্রায় ২০টি দোকান ও ঘর বাড়ি গ্রাস করেছে তেঁতুলিয়া। যার মধ্যে এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ব্যয় সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকারি মাকের্টও বিলিন হয়ে গেছে। নদীর গর্ভে চলে গেছে সরকারি রাস্তা,ঘাট।আপনজনদের শেষ চিহৃ করবও গিলে ফেলেছে প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদী।
বিলিন হবার পথে ভাষা সৈনিক ও ন্যাপ নেতা সৈয়দ আশরাফের সমাধি। হুমকিতে রয়েছে সমাজসেবক ও নদী ভাঙন রোধ কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জেল হোসেন মফু,জেলা পরিষদ সদস্য জহির উদ্দিন বাবরের বসত বাড়িসহ প্রায়  ৬০টি বসত বাড়ি। অনেককেই আবার ঘর বাড়ি ভেঙে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে প্রায় ১শ একক জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। নি:স্ব হয়ে গেছে অসংখ্য পরিবার। নদীর ভাঙনে সব হারিয়ে সরকারি রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছে শতাধিক পরিবার। সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে জায়গা হয়েছে ৩৯টি পরিবারের। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. দুলাল রাঢ়ী (৫০) ও অলি উল্লাহ (৪০) বলেন,ধুলিয়া বাজারে আমার দোকান ছিল।তা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। সব কিছু হারিয়ে নি:স্ব হয়ে গেছি। ধুলিয়া নদী ভাঙন রোধ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা পরিষদ সদস্য জহির উদ্দিন বাবর বলেন,তেঁতুলিয়ার ভাঙনে নি:স্ব হয়েছে শতশত মানুষ। সব হারিয়ে ঠাঁই হয়েছে রাস্তার পাশে।এখনও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। সাবেক চীফ হুইপ ও সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাঙন রোধে প্রকল্প পাশ করেছেন কিন্তু অদৃশ্য কারণে ১বছরেও কাজ শুরু হয়নি।

 

ধুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মু.হুমায়ন কবির বলেন,আমি নিজেও নদী ভাঙন মানুষ। আমার বসবাসের বাড়িও নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। আমি বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের কাছে ধূলিয়া হাইস্কুলের একটি কক্ষে পরিবার নিয়ে বসবাস করি। নিজের কোন জায়গা জমি নেই। অতিদ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু না করলে ধুলিয়াকে বাঁচানো যাবে না।এক সময় ধূলিয়া ইউনিয়ন হারিয়ে যাবে বাউফল উপজেলার মানচিত্র থেকে।

 

এবিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হালিম সালেহী বলেন,রিটেন্ডার হয়েছে। কাজ শুরু করার প্রায় ৮০শতাংশ কাজ শেষ। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে কাজ শুরু হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..