সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ২০ রান। সেখান থেকে অধিনায়ক টম লাথাম ও ম্যাকনকি শেষ পর্যন্ত সমীকরণ টানে ১ বলে ৬ রানে। অবশ্য কিউই অধিনায়ক লাথাম ইনিংসের শেষ বলে নিতে পারেন মাত্র ১ রান। এতেই দ্বিতীয়বারের মত নিউজিল্যান্ডকে হারাল টাইগাররা। ৪ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে লিড নিলো মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। এদিন মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মিরপুরের টার্নি আর মন্থর উইকেটে ধীর গতির শুরু করেন টাইগারদের দুই ওপেনার লিটন কুমার দাশ ও মোহাম্মদ নাঈম। পাওয়ার প্লে-র প্রথম ৬ ওভার শেষে তারা তুলতে পেরেছিল ৩৬ রান। অবশ্য বিচ্ছিন্ন থেকেই অষ্টম ওভারেই অর্ধশতকের জুটি ছাড়ান এই দুই ওপেনার।
লিটন-নাঈমে অর্ধশতক পেরোনোর পর বাংলাদেশ শিবিরে তোপ দাগেন কিউই স্পিনার রাচিন রাবিন্দ্র। পরপর তুলে নেন লিটন (৩৩) ও মুশফিককে (০)। স্টাম্পিংয়ে কোনো রান করেই মুশফিক ফিরলে চাপে পড়ে যায় দল। চাপ কাটাতে ভালো শুরু করেও সাকিব (১২ রান) ফেরেন অভিষিক্ত বেন সিয়ার্সের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে। দ্রুত লিটন-মুশফিক ও সাকিবকে হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে শত রান পার করান নাঈম-মাহমুদউল্লাহ জুটি। তাদের চাপ কাটানো সেই ৩৪ রানের জুটি ভাঙ্গেন কিউই স্পিনার রাচিন। বান্ডলের হাতে ক্যাচ হয়ে নাঈমকে ক্যাচ বানানোর আগে দুর্দান্ত ৩ চারে ৩৯ বলে গুরুপ্তপূর্ণ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নাঈমকে। পরে বেশিসময় টিকতে পারেননি আফিফ হোসেন (৩)।
অবশ্য পরের দৃশ্যপট পালটে দেন মাহমুদউল্লাহ। তাকে দুর্দান্ত সঙ্গ দেন নুরুল হাসান। শেষের দিকের তাদের ৩১ রানের জুটিতে ১৪১ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ৫ চারে ৩৭ রান। নুরুল খেলেন ১ চারে ৯ বলে ১৩ রানের ইনিংস। কিউইদের হয়ে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রাচিন রাবিন্দ্র। একটি করে উইকেট নেন হাশিম বেনেট, আজাজ প্যাটেল ও কোল ম্যাকহোননি। এক ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি অভিষিক্ত বেন সিয়ার্স।
১৪২ রানের টার্গেটে ভালো শুরু পাননি সফরকারীরা। ম্যাচের তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে সাকিব-মেহেদির বলে ১৮ রানে দুই ওপেনারকে হারায় কিউইরা। সাকিব ফেরান ৯ বলে ১০ রান করা রাচিন রাবিন্দ্রকে। পরের ওভারেই মেহেদি বলে স্টাম্পিং হয়ে ফিরেন টম বান্ডল (৬)। অবশ্য এরপর ৪৩ রানের দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন অধিনায়ক লাথাম-উইল ইয়ং। ভয়ংকর হয়ে ওঠা সেই জুটি জুটি ভাঙেন সাকিব। ১১তম ওভারের শেষ বলে সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ বানান উইল ইয়ংকে। পরে গ্রান্ডহোমকে বেশিসময় থাকতে দেননি নাসুম। পরে নিকোলাসকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মেহেদি। তবে একপাশ আগলে থাকা টম লাথাম এরপর অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ম্যাকনকির সঙ্গে। অবশ্য লাথাম আউট হতে পারতেন যদি না নুরুল হাসান সোহান ভুল করতেন। তবে তাদের ৪৫ রানের জুটি দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ ওভারের নো বলের রোমাঞ্চেও সফরকারী কিউইদের ইনিংস থামে ৪ রান পিছিয়ে, ১৩৭ রানে। বাংলাদেশ কিউইদের বিপক্ষে তুলে নেন তাদের দ্বিতীয় ও সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। দুটি উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাট করায় ম্যাচ সেরা হয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।