1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বাঙ্গালী-খাসিয়াদের ডিসি এসপির সতর্ক বার্তা : খাসিয়া ও উপকারভোগীদের বিরোধ নিষ্পত্তিতে স¤প্রীতি সমাবেশ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৯২ বার পঠিত

কুলাউড়া প্রতিনিধি: কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে মুরইছড়া বনবিট এলাকায় সামাজিক বনায়নকে ঘিরে বাঙ্গালি উপকারভোগী ও খাসিয়াদের মধ্যে স”ষ্ট চলমান বিরোধের নিষ্পত্তিতে জেলার সর্বো”চ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে এক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ লক্ষে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) কর্মধা ইউনিয়নে ক্ষুদ্র- ন”-গোষ্ঠী কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী চলা সমাবেশে বাঙ্গালী-খাসিয়াদের সতর্ক করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার। আইন শ”ড়খলা পরি¯ি’তির অবনতি হবে এমন কিছু করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও সতর্ক করেন তারা। সাথে সামাজিক বনায়ন সঠিকভাবে বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক ৭ সদস্যের একটি কমিটিও ঘোষণা করেন। সমাবেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। হামলা পাল্টা হামলা, মামলা পাল্টা মামলার নিন্দা জানিয়ে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করা যাবেনা। জাতির জনকের অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাতে বিশ^াসী নয়। আমরা সম্প্রীতিতে বিশ^াসী। উপজেলা প্রশাসন রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে, এদের সিদ্ধান্ত আপনাদের মানবে হবে। চলমান দ্ব›দ্ব নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, লংলা পাহাড়ে ১০৫ নং দাগের মোট ২৮৬ একর জায়গার ১৪৫ একর নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। চলমান জায়গা নিয়ে কোন কথা নেই। বাকী ১৪১ একর জায়গার ছোট কালাইগিরি ১০ হেক্টর (২৫ একর) জায়গায় উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সামাজিক বনায়ন চলবে ¯’ানীয় খাসি ও বাঙ্গালিদের নিয়ে। এতে খাসিয়ারা কোন বাধা দিতে পারবে না। আর খাসিয়ারা সমতলে আসার পথে বাঙ্গালীরা বাধা দিতে পারবেনা। এমন কিছু হলে শক্ত ব্যব¯’া নেয়া হবে। সামাজিক বনায়ন চলবে। সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী বাছাইয়ে বন বিভাগের কড়া সর্তক করেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক বলেন, কুলাউড়ার ইউএনও, সার্কেল এসপি, ওসি, ¯’ানীয় চেয়ারম্যান, রেঞ্জার, আদিবাসী প্রতিনিধি বাবলী তালাং, সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের প্রতিনিধি একজন সামাজিক বনায়নের ভালো মন্দ সিদ্ধান্ত দিবেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, এই বন রাষ্ট্রের, এই বন বন বিভাগের। বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, মালিকানা দেওয়া হয় নাই। আমরা রাষ্ট্রের বিধির আলোকেই দায়িত্ব পালন করব। অতি উপকারভোগী হয়ে খাসিয়াদের উপর হামলা সহ্য করা হবেনা। সব নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। বাঙ্গালী উপকারভোগীরা খাসিয়াদের উপর হামলার ঘটনার শক্ত সমালোচনা করে পুলিশ সুপার খাসিয়া জনগোষ্ঠীর উদ্দ্যেশে বলেন, পান চাষে রাষ্ট্র কি পা”েছ? রাষ্ট্রের কাছ থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন কিš’‘ রাষ্ট্রকে কয় টাকা রাজস্ব দি”েছন? আইন হাতে তুলে নিলে বড় ভুল হবে। উপজেলার বিষয় আন্তর্জাতিক ইস্যু না বানিয়ে ¯’ানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করবেন। যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে চলবেন, রাষ্ট্র আপনাদের পাশে থাকবে। তবে অবশ্য ক্ষুদ্র ন” গোষ্ঠির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাওছার দস্তগীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায়, কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ রহমান আতিক, প”থিমপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খান, বনবিভাগের পক্ষে রেঞ্জ অফিসার রিয়াজ উদ্দিন, খাসিয়াদের পক্ষে ফোরা বাবলী তালাং ও উপকারভোগীদের পক্ষে হারিছ আলী।
সমাবেশে বনবিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, কুলাউড়া উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আগে বাঁশ ছিলো। সেই বাঁশের পরিবর্তে এখন আছে পান। এখন আর বাঁশ নেই। মহালও নেই। ৪টি বাঁশ মহাল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সামাজিক বনায়নেও আসছে বাঁধা। তবে সরকার ‘সিলেট বনবিভাগে পুণ:বনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার কার্যক্রম শুরু হবে। খাসি জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বলা হয়, বংশপরম্পরায় পান চাষ করে খাসি জনগোষ্ঠী জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। বন বিভাগ সামাজিক বনায়ন করুক, এটা আমরাও চাই। পাহাড়ের জমি বনভূমির হলেও আদিকাল থেকে বসবাস করা জনগোষ্ঠীকে উ”েছদ করা যায় না। এটি জাতিসংঘ সনদ ও আইএলও কনভেনশনের স্পষ্ট লড়ঘন। আন্তর্জাতিক এসব আইন এবং দেশের সংবিধান উপেক্ষা করে সামাজিক বনায়নের নামে পাহাড়ে বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে উ”েছদ চালিয়ে যা”েছ বন বিভাগ। আমরা যেখানে বসবাস করছি, প্রাকৃতিক বনকে ধ্বংস করে সামাজিক বনায়নের নামে আদিবাসীদের উ”েছদের পায়তারা বন্ধ, মিথ্যা ও হুয়রানিমূলক মামলার নিষ্পত্তি ও খাসিদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..