1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শ্রীমঙ্গলে কেজি দরে বিদ্যালয়ের ৮শ কেজি বই বিক্রির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৫৩৯ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক: শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক শ্রেণির সরকারি বই কেজি দরে ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দফতরির বিরুদ্ধে। বইগুলো শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর দশরথ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের। বিক্রি করা বইয়ের মোট ওজন ৮০০ কেজি।

অভিযোগ উঠেছে , ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক স্তরের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বইগুলো ভাঙ্গারি হিসেবে শহরের একটি ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করে দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ঝলক চক্রবর্তী ও দফতরি রাম গোপাল দাশ। স্কুল থেকে কেনা বইগুলো শ্রীমঙ্গল শহরের হবিগঞ্জ সড়কের চিত্রালী সিনেমা হল সংলগ্ন ইউসুফ আয়রন মার্ট নামে আরেকটি ভাঙ্গারি দোকানে বেশি দামে বিক্রি করেন ওই ফেরিওয়ালা। ওই দোকানের শ্রমিকরা বইগুলোর ওজন মেপে গুদামে রাখতে দেখা গেছে।

বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাধ্যমিক স্তরের বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা, পৌরনীতিসহ অন্যান্য বই। এর মধ্যে ২০২০ নতুন ও ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের পুরান বই রয়েছে। কিছু বই উইপোকায় নষ্ট হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের এক সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘ফেরিওয়ালার কাছে বইগুলো ৮-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। ইউসুফ আয়রন মার্টের স্বত্বাধিকারী ইউসুফ বলেন, ‘ফেরিওয়ালার কাছ থেকে ৮০০ কেজি বই ১২ টাকা দরে কিনেছি। বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের দফতরি রাম গোপাল দাশ এই বইগুলো ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করেন। তবে তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই বইগুলো বিক্রি করেছি। প্রধান শিক্ষক পুরান বইগুলো বিক্রি করে কক্ষ পরিষ্কার করার জন্য বলায় সব বই বিক্রি করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর দশরথ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ঝলক চক্রবর্তী বলেন, ‘স্কুলের দফতরিকে বলেছিলাম, স্কুলের কিছু পুরান বই উইপোকায় কেটে ফেলেছে। তাই নষ্ট বই ও কিছু ব্যবহৃত কাগজপত্র বিক্রি করার জন্য। দফতরি সেই কথা অনুযায়ী, বইগুলোর সঙ্গে ভুলক্রমে ২০২০ সালের বইও বিক্রি করে দিয়েছে। এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীলিপ বর্ধন বলেন, ‘সরকারি বই বিক্রির নিয়ম নেই। যে বইগুলো বণ্টন হয়নি সেগুলো উপজেলা মাধ্যমিক বই বিতরণ, গুদামজাতকরণ ও সংরক্ষণ কমিটির কাছে জমা দিতে হয়। পরে এগুলো দরপত্র আহ্বান করে বিক্রি করার নিয়ম আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি করার নিয়ম নেই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এভাবে বই বিক্রি করতে পারেন না। মৌলভীবাজার জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..