সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে না পেরে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। এ সময় তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগ টিকাকেন্দ্রের সামনে তারা এই বিক্ষোভ করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন।
চাঁদপুর থেকে ঢাকা মেডিক্যালে টিকা নিতে আসা নাইম ইসলাম নামের এক প্রবাসী বলেন, ২ মাস আগে আমি টিকার জন্য নিবন্ধন করেছি। ৬ সেপ্টেম্বর আমার মেসেজ আসছে, এরপর দিন আমি এখানে আসি। ওই দিন আমাকে টিকা দেওয়া হয়নি। তখন আমাকে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বের) আসার কথা বলে দেয়। সেই কথামতো ফজরের পর আমি এই টিকাকেন্দ্রে এসেছি। এসে লাইনে দাঁড়াই। এরপর বলছে, আমাদেরকে আজকেও টিকা দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ চলে যাচ্ছে। সবাই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক। তারা সবাই এজেন্সিতে টাকা দিয়ে রাখছে। আমাদের সেইভাবে কোনো আশ্বস্তও করছে না যে, কবে টিকা পেতে পারি। আমরা দাবি জানাচ্ছি, প্রাবাসীদের যেন দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
কামরুজ্জামান নামের এক প্রবাসী বলেন, সোমবার আমার ম্যাসেজ এসেছে, শনিবার টিকা নেওয়ার তারিখ উল্লেখ করে। আজ সকালে এখানে এসে লাইনে দাঁড়াই। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমাদের বলা হয় আজ টিকা নেই।
তিনি আরও বলেন, এর আগে যেদিন টিকার জন্য আসি, তখন তারা বলে দেয় যে, আজ আসলে আমরা টিকা পাবো। কিন্তু আজকে আমরা আসার পরে তারা আমাদের বলে, টিকা নাই।
এ সময় অনেকেই দাবি করেন, তাদের শনিবারে টিকাগ্রাহণে তারিখ দিয়ে এসএমএস এসেছে।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকা নিতে না পেরে প্রবাসীরা বিক্ষোভ করার সময় হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের সীমানার বাইরে বের করে দেন। পরে তারা পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যাায়ে তারা দল বেধে সেখান থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের চলে যায়।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রবাসীকেই আজকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য এসএমএস দেইনি। আজ যারা এসেছেন, তাদের পূর্বের তারিখে টিকা নেওয়ার দিন ছিল। তখন তারা বিভিন্ন কারণে আসতে পারেনি, এখন তারা এসে টিকা নিতে চাচ্ছে। আমাদের এখানে প্রথম ডোজ সিনোফার্মা চালু আছে। আমরা তাদেরকে সিনোফার্মার টিকা নিতে অফার করেছি যে, সিনোফার্মা আমাদের এখানে চলমান, আপনারা এটা নিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আর যাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার ও মডার্না না নিলে চলবে না তাদেরকে আমরা বলছি, আপনারা খবর রাখেন যখন সরকার এগুলো চালু করবে, তখন আপনারা আসবেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সকালে টিকা নিতে না পারা প্রবাসীরা কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল। পরে আমরা তাদেরকে বুঝিয়ে টিকাকেন্দ্র থেকে সরিয়ে দিয়েছি।