বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের লালবাগ এলাকার ইউপি সদস্যের উপর মাদক,নারী ব্যবসা সহ অবৈধ ব্যবসায় স্ত্রী জড়িত না হওয়ায় তার উপর নির্যাতন করার অভিযোগ এনে স্বামী আব্দুস সলাম রাজা(৪৫) মেম্বার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার জন্য মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এর নিকট আবেদন করেছেন তার স্ত্রী সলমা বেগম(৩০)। সালমা বেগমের লিখিত অভিযোগে দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে জানান, তার পূর্বের স্বামীর সাথে সাংসারিক ঝগড়ার বিচার করতে গিয়ে ১৩ বছরের সংসার ভেংঙ্গে দেন আব্দুস সলাম রাজা(৪৫) মেম্বার। শ্রীমঙ্গলের লালবাগ এলাকার টিপু মিয়ার সাথে ১৩ বছর পূর্বে ইসলামীক শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। স্বামীর সাথে মাঝে মধ্যে পরিবারিক বিষয়ে মনোমালিন্য হতো। সেই সুবাদে শ্রীমঙ্গল উপজেলার লালবাগের সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে মেম্বার আব্দুস সলাম রাজা(৪৫) তাদের স্বামী স্ত্রীর সংসারের বিচার করতে গিয়ে সরলতার সুজুগ নিয়ে কৌশলে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ভূল বুঝা বুঝি সৃস্টি করে বিবাহ বিচ্ছেদ করান। সে সময় অসহায়ত্বের সুজুগ নিয়ে বিবাহিত আব্দুস সালাম রাজা মেম্বার ২ লাখ টাকা দেন মোহর দিয়ে ইসলামীক শরিয়ত মোতাবেক তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার কথামতো অবৈধ্য কাজ না করার জন্য শারিরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। তখন সালমা বেগম জানতে পারে আব্দুস সালাম রাজা মেম্বারের প্রথম পক্ষের বিয়ের ছেলে মো: ফরহাদ আহমেদ ইয়াবা ব্যবসায়ী ও চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে ডাকাত দলের সদস্য। ইয়াবা সহ পুলিশের নিকট ধরা পরে দীর্ঘ দিন জেলে কেটে বেড়িয়ে অজ্ঞান পার্টিও সদস্য হিসাবে ডাকাতির মামালায় জেল হাজতে যায়। মেম্বার আব্দুস সলাম রাজা ও অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত। তাকে অবৈধ্য ব্যবসায় জড়িত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে রাজি না হওয়ায় হুমকি দেয় ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেবে। তার নির্যাতনে সালমা বেগম অতিষ্ট হয়ে ২০১৮ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মৌলভীবাজার আদালতে মামলা করেন। ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় ও স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন নিয়ে সালিশ বৈঠকে দুই লাখ টাকা দেন মোহর পরিশোধ করে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ঔই দিন রাতে আবার আব্দুস সলাম রাজা বাড়িতে এসে হুমকি ধামকিসহ ভয় ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করেন। সালমা বেগম ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ফোনে বিষয়টি জানালে পরিষদের মহসীন মেম্বার ঘটনা স্থলে আসেন। আব্দুস সালাম রাজা মেম্বাররের হুমকি ও চাপে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার পর মহসীন মেম্বারের সাথে চলে যায়। আবার ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই সালমা বেগমকে ভয় ভীতি দেখিয়ে সিলেট নিয়ে গিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে বিয়ে করেন। এর কিছু দিন পর থেকে আবারও তার সাথে অশান্তি শুরু করে। মাদক মামলায় আটক ছেলেকে জেল থেকে মুক্ত করতে তার পৌনে ২ ভরি সোনা বন্ধক দেন। দুই বছর ধরে তার ভরন পোষন ও বাসা ভাড়া কিছুই দেয়নি। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ২য় বার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করে সালমা বেগম। কিন্তু তার অবৈধ্য কার্যকলাপের স্বাক্ষী হয়ে যাবে চিন্তা করে আব্দুস সালাম রাজা আপোস করে নেয়। কিছু দিন পর আবারও অবৈধ্য কাজ করার জন্য তাকে চাপ দেয়, এমনকি মারধোর পর্যন্ত করতে থাকে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন কৌশলে তার কাছ থেকে দেন মোহরের পরিশোধ করা ২ লাখ টাকাও হাতিয়ে নেয়। এলাকার সকল অবৈধ্য নারী বাবসা, মাদক ব্যবসা, অবৈধ্য সকল প্রকার কাজ সে নিয়ন্ত্রন করে বলে সালমা বেগম অভিযোগ আনেন। একটি বিশেষ মহল তাকে বার বার রক্ষা করে যাচ্ছেন বলে সালমা বেগমের দাবী। এখন সে প্রানের নিরাপত্তার জন্য মৌলভীবাজার মোকামবাজারে বাসা ভাড়া করলেও আব্দুল সালাম রাজা তার পিছু ছারেননি। মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।