মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
এম এ রকিব : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচন সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে বিজিবি’র পাশাপাশি অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের দাবী জানিয়েছেন প্রার্থীরা। আ’লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী ভানু লাল রায় এ দাবী জানান। এর আগে আ’লীগের বিদ্রোহী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফজল হক (ঘোড়া প্রতিক) ও চা শ্রমিক সন্তান প্রেমসাগর হাজরা (আনারস প্রতিক) একই দাবী জানিয়েছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল তিনটার দিকে স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে নৌকা মার্কার প্রার্থী ভানুলাল রায় বলেন, চা বাগান পরিবেষ্টিত এ উপজেলার প্রতিটি চা বাগানে তিনি তিন বার নৌকা মার্কার পোষ্টার লাগানো হয়েছে। কিন্তু আমার কোন পোষ্টার চা বাগানগুলোতে গিয়ে পাবেন না। সবগুলো পোষ্টার অন্য প্রার্থীর সমর্থকরা ছিড়ে দিচ্ছেন। আমার নেতা কর্মীকে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। চা শ্রমিকদের ভোটের অধিকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছিলেন বলেই ১৯৭১ থেকে সব সময়’ই নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়ে আসছে। এখানে অন্য কিছু চিন্তাই করা যায় না। আশা করি এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না।
তিনি বলেন, নিশ্চিত নৌকার বিজয় জেনে বিদ্রোহী দুই প্রার্থী স্থানীয় সাংবাদিকদের অবিশ্বাস করে জেলা প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। উপজেলা ও জেলার সকল সংবাদ কর্মীদের এই উপনির্বাচ পর্যবেক্ষন করার অনুরোধ করছি। এছাড়া সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সার্থে বিজিবি’র পাশাপাশি অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের যে দাবী বিদ্রোহী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী করেছেন সেই দাবীর প্রতি তিনি একাত্বতা পোষন করেন।
এর আগে গত সোমবার মৌলভীবাজার জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করে আ’লীগের বিদ্রোহী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রেমসাগর হাজরা ও মো. আফজল হক সাংবাদিকদের জানান, যে কোন মূল্যে কেন্দ্র দখল করে ভোট কারচুপি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ের পায়াতারা করছেন। ভোটের আগের রাতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর দ্বারা ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কার কথাও বলেন ওই বিদ্রোহী দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনকে জানাতে চাই শ্রীমঙ্গল পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের সকল ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। প্রশাসন যেন এই কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করে। সাথে সাথে উপজেলার সকল ভোট কেন্দ্রে বিজিবি মোতায়েন করার পাশাপাশি পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের সব সেন্টারের জন্য আলাদাভাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জোর দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তপন জ্যোতি অসিম বলেন, নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ভাল রয়েছে। সব কেন্দ্রই আমাদের কাছে সমান। নির্বাচন সুষ্ট, নিরপেক্ষ করতে আনসার, পুলিশ ও বিজিবি’র পাশাপাশি ১৯জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য আগামি ৭ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ মোট চার জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করেছেন। জাতীয়ভাবে বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করায় এখানে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২লক্ষ ৩৩হাজার ৯১৬জন। ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলিয়ে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৮০টি।