শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:১১ অপরাহ্ন
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি- বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যখন তাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করছে তখন এ দেশের চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক এবং জঙ্গি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি করে এবং মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পূজা মণ্ডপ, মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, স্বাধীন বাংলাদেশে অভ্যুদয় ঘটেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক নীতির ভিত্তিতে। এ ধরনের হামলা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হাজার বছরের আবহমান ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলে কুঠারাঘাতের শামিল। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশে কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা বরদাশত করা হবে না।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার যেকোনো মূল্যে অসাম্প্রদায়িক নীতির সুরক্ষা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর। আমরা কোনো অবস্থাতেই মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি ভূলুণ্ঠিত হতে দেব না। এই বাংলাদেশ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায় ও ধর্মীয় বিশ্বাসী মানুষের। বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মভীরু, তবে সাম্প্রাদায়িক ও ধর্মান্ধ নয়।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের এসব জায়গায় শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এসব সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যের কুশীলবদেরও অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হবে। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টি করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানাই।’