রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৩ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক :: শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের জামিন আবেদনের ওপর তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়েছে । টানা তিনবার বিশেষ আদালতে জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর বুধবার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার ফের শুনানির দিন ধার্য করে হাইকোর্ট।
আরিয়ান খানের জামিনের শুনানি হলেও বুধবারও রায় ঘোষণা করেনি মুম্বাই হাই কোর্ট। আবারও বৃহস্পতিবার এই শুনানি হওয়ার কথা। মঙ্গলবার আরিয়ানের জামিনের শুনানি প্রক্রিয়া অসমাপ্ত ছিল। শাহরুখ এবং গৌরী খান আশা করেছিলেন বুধবার হাইকোর্ট রায় শোনাবে।
বুধবার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালতকে থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন আরিয়ানের আইনজীবী অমিত দেশাই। তিনি জানান, কোন যুক্তিতে আরিয়ান জামিন পেলেন না, সে কথা আমাদের জানানো হয়নি।
বুধবার জামিনের শুনানির ঘণ্টা খানেক আগেই ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীতে এনসিবির কর্মকর্তারা তল্লাশি শুরু করার কিছু আগেই আরিয়ান এক অভিনেত্রীর সঙ্গে মাদক বিষয়ে কথা বলেছেন বলে এনসিবি দাবি করেছে। এছাড়া এক মাদক পাচারকারীর সঙ্গেও তার কথোপকথনের নথিও উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি সংস্থাটির।
অন্যদিকে, আরবাজের আইনজীবী আলি কাসিফ জানিয়েছেন, তারাও মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুনমুন ধমেচাও সম্ভবত একই পদক্ষেপ করবেন বলে জানান তিনি।
গত সপ্তাহে মুম্বাইয়ের নিম্ন আদালতে আরিয়ান খানের জামিনের আবেদন খারিজ হয়। হাইকোর্টের প্রতি আস্থা রেখে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল শাহরুখ খান এবং গৌরী খান। কিন্তু মঙ্গলবার মুম্বাই আদালতে শাহরুখ পুত্রের জামিনের শুনানি অসমাপ্ত ছিলো।
মাদক মামলায় গ্রেপ্তারের পর অনেকবার জামিন আবেদন না মঞ্জুর হয়েছে আরিয়ানের। সে কারণে ২৪ দিন ধরে মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলেবন্দী রয়েছে আরিয়ান খান। তাই এবার জামিন চেয়ে মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আরিয়ান। আজ তার জামিনের মামলার প্রথম শুনানি।
এবার মুম্বাই হাইকোর্টে আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডকে নয়, আরিয়ানের হয়ে সাওয়াল জবাব করতে দেখা যায় প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এবং বর্ষীয়ান আইনজীবী মুকুল রোহাতগিকে। বিচারপতি নীতিন সাম্বরের একক বেঞ্চের কাছে মঙ্গলবার দুই পক্ষই নিজেদের সমর্থনে বক্তব্য পেশ করে।
ক্রুজ পার্টিতে আরিয়ানকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এই সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল। মঙ্গলবার মুম্বাই উচ্চ আদালতে তিনি বলেন, ‘এত অল্প মাদকের জন্য জেলে নয় বরং রিহ্যাবে পাঠানো উচিৎ’। হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের ওপর ভিত্তি করে অবৈধ মাদকের সাথে নিয়মিত সংযোগের প্রমাণ মিললেও তাকে গ্রেপ্তারের প্রয়োজন ছিল না বলে যুক্তি দেন জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী। মাদক মামলায় ৮ই অক্টোবর থেকে কারাগারে আছেন শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান।