রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় মিলিত হন দুই নেতা।
বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, আফগানিস্তানের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি বেইজিং শ্রদ্ধাশীল। আফগানিস্তানের নিজস্ব উন্নয়নের পথ, শাসন কাঠামো এবং তালেবানের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী আফগান সরকারের বাস্তবতাকে বেইজিং সম্মানের চোখে দেখে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তালেবান আফগানিস্তানের সব জাতিগত গোষ্ঠী এবং উপদলকে ঐক্যবদ্ধ করে স্থিতিশীলতা অর্জন এবং উন্নয়নের জন্য একযোগে কাজ করবে। কারণ আফগান জনগণের হাতেই আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ।
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, তালেবান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়েছে। সরকার সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী।
আফগানিস্তানের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় চীনকে ধন্যবাদ জানান মুত্তাকি। তিনি বলেন, চীনা সহায়তা আফগান জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
বৈঠকে জিনজিয়াং প্রদেশের ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের বিষয়ে বেইজিং-্এর উদ্বেগ অনুধাবন করায় তালেবানকে ধন্যবাদ জানান চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দলটিকে দমনে আরও তালেবান সরকার জোরালো পদক্ষেপ নেবে।
ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট নিজেকে উইঘুরদের স্বাধীনতাকামী একটি সংগঠন হিসেবে দাবি করে। তবে বেইজিং এটিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। চীন চাইছে, তালেবান শাসনে আফগানিস্তান থেকে শক্তি বৃদ্ধির সুযোগ না পায়।
তালেবানের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। দলটি ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বেইজিং। তবে তালেবান সরকারকে এখনো আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি বেইজিং।