রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের নারীরা ফের শিক্ষাঙ্গনে ফিরতে পারে এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছে তালেবান। কর্মকর্তারা বলছেন, নারী শিক্ষা পুরোপুরি বন্ধের কোনো পরিকলপনা নেই। যদিও তালেবানের এমন আশ্বাসে খুব একটা আস্থা রাখতে পারছে না দেশটির নারী শিক্ষার্থীরা।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে একসময় যেখানে শিক্ষার্থীদের কোলাহল দেখা যেতো, এখন সেখানে তালেবান সদস্যদের সশস্ত্র পাহারা। অনুমতি নেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের নিজে ক্যাম্পাসে প্রবেশেরই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাওয়া। তার বেশিরভাগ সময় কাটে এখন ঘরে বসে ছবি এঁকে। হতাশ হয়ে চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছেন না তিনি। চাইছেন দ্রুত তালেবান শাসনের অবসান হোক।
তিনি বলেন, ‘যতদিন তালেবান আছে,ততদিন মেয়েদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। আমার মত অনেকেই জানেনা তাদের জীবনে কি ঘটতে যাচ্ছে। পড়াশোনার পাশাপাশি যারা চাকরি করে পরিবারকে সাহায্য করত, তাদেরও কাজে যেতে দিচ্ছে না উগ্রবাদীরা। কতটা অসহায় অবস্থায় আছি বলে বোঝাতে পারব না।’
হাওয়ার মতো অনেকটা একই পরিস্থিতি স্কুলছাত্রী সাহারেরও। মেয়েদের স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শূন্য ক্লাসরুমে ক্লাসের দিনগুলো খুজেঁ বেড়ায় সে। আর বাড়িতে বসে অনলাইনে ক্লাস ও শিক্ষা কার্যক্রম চালালেও,তাতে তৃপ্ত নয় সে।
তিনি বলেন, ‘দুই মাসের বেশি হয়ে গেল আমার স্কুলে যাওয়া বন্ধ। খুব মিস করছি আমার ক্লাসরুম, শিক্ষক আর বন্ধুদের। যেকোন মূল্যে আমি স্কুলে যেতে চাই। যাতে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি এবং দেশের কাজে লাগতে পারি।’
ক্ষমতা দখলের পর শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়ে শিশুদের শিক্ষাঙ্গনে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে তালেবান। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে কর্মজীবি নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশেও। যদিও,আফগান নারীদের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।
এ অবস্থায় তালেবান কর্মকর্তা জানালেন, নারী শিক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তা কর্মসূচির পরিচালক ওয়াহিদুল্লাহ হাসিমি, ‘মেয়েদের জন্য স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি বিবেচনা করছি আমরা। এটা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়নি। আমাদের নিয়মের মধ্যে থেকেই কীভাবে সেটা করা যায়, তা নিয়েই কাজ করছি।’